চাঁদপুরে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩, ৭:০১ অপরাহ্ন / ৩০৪
চাঁদপুরে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুরে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঙ্গীর হোসেন ঃ
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে এবং জেলা প্রশাসকের ব্যবস্হাপনায় দেশব্যাপী কাজের অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হলো চাঁদপুর জেলা সাহিত্য মেলা। মেলায় জেলার দেড় শতাধিক লেখক-অনুবাদক-আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক নিবন্ধন করেছেন। সব মিলে দুই শতাধীক লেখক অংশ নিয়েছেন। মেলায় উদ্বোধনী সেশনে প্রধানঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং লেখক ও গবেষক এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতান,সমাপনী সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিশুসাহিত্যিক ও সাবেক সচিব ফারুক হোসেন । দুটো পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্যমেলার সদস্য সচিব ইমতিয়াজ হোসেন, শেকড়ের টানে চাঁদপুরের যেসব লেখক দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন এবং সাহিত্যপাঠ ও বক্তব্যসহ বিভিন্ন পর্বে অংশ নেন প্রাবন্ধিক সরকার আব্দুল মান্নান,শিশুসাহিত্যিক আহমেদ রিয়াজ,প্রাবন্ধিক প্রণব কেন মজুমদার,শিশুসাহিত্যিক হুমায়ুন কবির ঢালী,শিশুসাহিত্যিক অমল সাহা,শিশুসাহিত্যিক সুলতানা লাবু, কবি শেখ ফিরোজ আহমেদ বাবু, প্রাবন্ধিক হাসান আলী,কবি জামশেদ ওয়াজেদ,কবি ও গল্পকার ইলিয়াস ফারুকী,প্রাবন্ধিক মুনিরা আক্তার,কবি ও প্রাবন্ধিক মেহেরুন্নেসা, কবি মবসুর আজিজ, প্রাবন্ধিক তৃপ্তি সাহা বাবা,কবি মিজান খান,কবি সৌম্য সালেক, ভ্রমণলেখক গাজী মনসুর আজিজ, কবি জেসমিন মুন্নী,কবি শান্ত চৌধুরী, কবি সঞ্জয় দেওয়ান, কবি মোস্তফা সোহেল খান,কবি খোরশেদ আলম বিপ্লব,নাজমুল হোসাইন খান
কথাসাহিত্যিক রেজাউল আহসান কবি খোরশেদ আলম নয়ন ক্ষুদে লেখক অবনীল আহমেদ ও নবনীল আহমেদসহ আরও অনেকে। জেলার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিকদের মধ্যে ছিলেন–
ছড়াকার খান-ই-আজম, কবি ইকবাল পারভেজ, ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক পীযুষ কান্তি বড়ুয়া, কবি তছলিম হোসেন হাওলাদার
কবি ও রম্য লেখক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, কবি সামীম আহমেদ খান, কবি আব্দুল্লাহিল কাফি, কবি দন্ত্যন ইসলাম
কবি হাসানুজ্জামান, কবি পাভেল ইমরান, প্রাবন্ধিক নুরুল ইসলাম ফরহাদ, কবি ও গল্পকার মনিরুজ্জামান বাবলু,
নাট্যকার জসীম মেহেদী, কবি ও প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, কথা সাহিত্যিক কাদের পলাশ, কবি  ও প্রাবন্ধিক জাহাঙ্গীর হোসেন, কবি দেওয়ান মাসুদুর রহমান, কবি সুমন দত্ত, কবি আশিক বিন রহিম, কথাসাহিত্যিক শাহমুব জুয়েল, কবি মোখলেসুর রহমান ভুঁইয়া, কবি মাহবুবুর রহমান সেলিম, প্রাবন্ধিক ফতেউল বারী রাজা, লেখক শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, লেখক ও সংগঠক মো. জহির উদ্দিন বাবর, কবি অমর দাস, লেখক ও সংগঠক মুক্তা পীযূষ, গীতিকার কবির মিজি, কবি শাদমান শরীফ, কবি নিঝুম খান, কবি ফারজানা মুন্নি, কবি সাবিহা সুলতানা, কবি নুরুনাহার নিশি, কবি তাফাজ্জল তাফু, কবি এএম সাদ্দাম হোসেন, কবি ফিরোজ আলম, কবি  আরিফুল ইসলাম শান্ত, কবি শাহাদাত শান্ত, অনুবাদক সাদ আল-আমিন, কবি মনিরুজ্জামান প্রমুখ
কবি পলাশ দে,কবি জাহিদ নয়ন লেখক এইচএম জাকির, চলচ্চিত্রকার আরিফ রাসেল, কবি খোকন চন্দ্র মজুমদার,কবি,ফাতেমা আক্তার শিল্পী,কবি হালিমা আক্তার রাত্রি,কবি সাহেদ বিন তাহের,কবি কাজী সাইফ,কবি আবদুল আজিম,কবি মোহাম্মদ হানিফ,প্রাবন্ধিক আবদুল গনি,কবি মারিয়া ফারজান,কবি জাহাঙ্গীর হোসেন তফাদার,গদ্যকার সাঈদুজ্জামান সৈকত,অনুবাদক হাসানাত রাজিব,কবি ও গদ্যকার আহনাফ আবদুল কাদির, কবি অভিজিৎ আচার্যী,কবি মুহাম্মদ ইসমাঈল,কবি মেহেদী হাসান রানা,কবি নবীন মেহেদী, কবি মেহেদী হাসান সোহেল,কবি,তারেক রহমান তারু,কবি ইমরান নাহিদ, কবি আকাশ হোসেন,কবি শাকিবুল ইসলাম,কবি নাদিয়া রওশন, কবি আবু ইউসুফ,কবি বিল্লাল হোসেন সাগর, কবি আবদুল খালেক বিশ্বাস,কবি শিউলী মজুমদার, গল্পকার হাফিজুর রহমান,কবি নাজমুল ইসলাম সজিব,কবি তাশফিয়া কাফী, কবি তাজিন লুবনা, কবি ফয়জুল হক, লেখক ক্লিন্টন সরকার, কবি সারা তাবাসসুম, ভ্রমণ লেখক মারিয়া জামান,আবৃত্তিশিল্পী সারাহ শামস, আবৃত্তিশিল্পী দীপান্বিতা দাস, আবৃত্তিশিল্পী ফাতেমাতুজ জোহরা, আবৃত্তিশিল্পী সামিয়া আলম,চিত্রশিল্পী অজিত দত্ত, চিত্রশিল্পী সাধন সরকার, দুলাল চন্দ্র দাস, ফারজানা কুমকুম, জান্নাতুল ফেরদৌস সুপ্ত, নার্গিসসহ আরও অনেক লেখক। তাৎক্ষণিক অনেক লেখকের নাম মনে করতে পারছি না, তালিকায় অনেকের নাম বাদ পড়েছে।
সাহিত্য মেলায় চাঁদপুরের সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে দুদিনব্যাপী এই মেলা আয়োজন করেছেন জেলা প্রশাসন চাঁদপুর। চমৎকার এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন জেলার দুই শতাধিক লেখক। মেলায় সেমিনার, কর্মশালা, সাহিত্য পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চাঁদপুরের লেখকগণের বইয়ের প্রদর্শনী ছিল অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া স্বরচিত সাহিত্য পাঠের জন্য সম্মানি ও সনদও ছিলো বিশেষ আকর্ষণ।জেলার সকল লেখকের অংশগ্রহণে প্রানবন্ত হয়ে ওঠে চাঁদপুর শহর।