চবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ (৪৬তম ব্যাচ) বর্ষের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক শিক্ষা সফরের স্থান হিসেবে সুন্দরবনকে নির্ধারন করা হয়,যাহার প্রেক্ষিতে ১০ অক্টোবর ২০২২ শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করা হয়। সুন্দরবনের ইকোলজি ও বায়োডাইভারসিটি নিয়ে জানার উদ্দেশ্য এক ঝাক তরুণ-তরূণীর এই যাত্রা।
শিক্ষার্থীদের সাথে সার্বক্ষনিক ছিলেন চবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.হারুন-অর-রশিদ,প্রফেসর ড.শেখ বখতিয়ার উদ্দীন, প্রফেসর ড.ওমর ফারুক ও সহকারী অধ্যাপক ফারহানা রুমঝুম ভূঁইয়া উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রথম দিন করমজল ও হারবাড়িয়া নামক স্থানের দর্শন ও সব বিষয়ে সেখানখার কর্মকর্তা ও স্যারদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারে শিক্ষার্থীরা।
২য় দিন সুন্দরবন কটকা ও জামতলা খাল ও জামতলার সমুদ্র সৈকতে পরিদর্শনের মাধ্যমে শেষ হয় ২য় দিনের সুন্দরবন শিক্ষা-সফর।
৩য় দিন ষাটগম্বুজ মসজিদ,খান জাহান আলীর মাজার ও গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় পরিদর্শনের মাধ্যমে শেষ করা হয় বার্ষিক ট্যুর ২০২২।
সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি বিশাল ম্যানগ্রোভ বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বনভুমির অন্যতম। বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত।সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬২%) রয়েছে বাংলাদেশেএবং বাকি অংশ (৩৮%) রয়েছে ভারতের মধ্যে।
সুন্দরবন ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ করা হয়েছে যথাক্রমে ‘সুন্দরবন’ ও ‘সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান’ নামে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা।
লেখক ও সাংবাদিক, মাসুম বিল্লাহ
Attachments area