চট্টগ্রাম ফুল উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩, ৭:২০ অপরাহ্ন / ৪৪১
চট্টগ্রাম ফুল উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
চট্টগ্রাম ফুল উৎসব ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

মোহরম আলী বাপ্পী,(চট্টগ্রাম)সীতাকুণ্ড –
চট্টগ্রামের ফৌজদাহাট লিংক রোড মেরিন ড্রাইভে ফুল উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
ফৌজদারহাট লিংক রোডের কিছু অংশ প্রায় দুই যুগ ধরে ছিল অবৈধ দখলদারদের দখলে।গত ৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ১৯৪ একর খাস জমি দখলমুক্ত করেছে। উদ্ধারকৃত পুরো জায়গায় আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন পার্ক গড়ে তুলেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১০ থেকে ১৮)ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনব্যাপী এই ফুল উৎসব চলবে। এখানে বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করা হয়, যাহা যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফুলের চারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে প্রায় তিন লক্ষ ফুলের চারা রোপণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বিভাগীয় কমিশনা ড. মোঃ আমিনুর রহামান, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি মাহবুবুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ।
এ ফুল উৎসব উপভোগ করতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও বয়সের মানুষ ভীড় করে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এ উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে আছে  থাকবে,আমাদের দেশনেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছেন। ভবিষ্যতের চট্টগ্রাম শহর হবে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে।  বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষায়। মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন, সেটির ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ শুরু হয়েছে। উড়াল সড়ক হয়েছে, আরো হচ্ছে। বেটার্মিনাল নির্মানের কাজ চলমান, যেটির আয়তন হবে বর্তমান বন্দরের দ্বিগুণ। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর যখন পুরোপুরি চালু হবে তখন সেখানে ৩০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সুতরাং, প্রতিটি পরিকল্পনা এসব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি শহরকে নান্দনিক করতে হলে প্রকৃতির সাথে সমন্বয় করতে হয়। তা সম্ভব না হলে শহর কনক্রিটের শহরে পরিনত হয়। চট্টগ্রামকে এখনো নান্দনিক রাখার সুযোগ রয়েছে। এসময় মন্ত্রী সকল উন্নয়ন কাজে সমন্বয়ের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহবান জনান।