চট্টগ্রামে কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছেন ৮০ হাজার কৃষক।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২১, ২০২২, ৪:৫১ অপরাহ্ন / ২৮২
চট্টগ্রামে কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছেন ৮০ হাজার কৃষক।

চট্টগ্রামে কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছেন ৮০ হাজার কৃষক।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে ওঠার পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর
প্রভাবে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য সংকটের পূর্বাভাস দিয়ে এক ইঞ্চি
জমিও পতিত না রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে
সরকার। চট্টগ্রামে পাচ্ছেন ৮০ হাজার কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি রবি মৌসুমে (২০২২-২০২৩ সাল) বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার হেক্টর জমি। বোরো আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও সার সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
বোরো আবাদে দুই ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে ৭৩ হাজার কৃষককে। এছাড়াও রবিশস্য উৎপাদনের জন্য আরও ৭
হাজার চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। সবমিলে চট্টগ্রামে এবার ৮০ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বোরো ও রবিশস্যের আবাদ ও
উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোয় বড়
ভূমিকা রাখবে।’ বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতির পূর্বাভাসে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য
কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ২০২৩ সালে দুনিয়া জুড়ে বড় ধরনের খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার কথা
জানিয়েছে। করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশি^ক খাদ্য উৎপাদন কমেছে বলে জানিয়েছে
এ সংস্থাগুলো। খাদ্য সংকট নিয়ে সর্তক বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আগামী বছর
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের বড় ধরনের আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য
খাদ্যোৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশের পতিত আবাদ জমির প্রতিটি ইঞ্চি কাজে লাগাতে হবে খাদ্য উৎপাদনের
জন্য।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বোরো উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল উফশী ও
হাইব্রিড জাতের বীজ এবং সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে এসএল-৮ এইচ বীজ কৃষকদের
মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, মিরসরাই উপজেলায় ২১ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এর
বিপরীতে প্রণোদনা পেয়েছেন ১২৩০শ জন কৃষক। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ছয় হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে চাষের
লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ফটিকছড়িতে ২১ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রণোদনা পেয়েছেন
ছয় হাজার কৃষক। হাটহাজারীতে নয় হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রণোদনা
পেয়েছেন ৩৫০০ জন। রাউজানে ১১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রণোদনা
পেয়েছেন ৩৪২০ জন কৃষক। রাঙ্গুনীয়া উপজেলায় ১৫ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
প্রণোদনা পেয়েছেন ৫৪৮০ জন কৃষক। বোয়ালখালীতে চার হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
প্রণোদনা পেয়েছেন ১৪শ জন কৃষক। পটিয়া (কর্ণফুলীসহ) ১৩ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা
ধরা হয়। প্রণোদনা পেয়েছেন ৩৭শ জন কৃষক। আনোয়ারা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় সাত হাজার ৪৮০

হেক্টর জমি। প্রণোদনা পেয়েছেন ৪৫০০ জন কৃষক। চন্দনাইশে আট হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা
হয়। প্রণোদনা পেয়েছেন ২৬৫০ জন কৃষক। লোহাগাড়া উপজেলায় ১১ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আমনের
লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রণোদনা পেয়েছেন তিন হাজার জন কৃষক। সাতকানিয়ায় ১২ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে
লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রণোদনা পেয়েছেন ৫১৫০ জন কৃষক। বাঁশখালীতে ১৪ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে
লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রণোদনা পেয়েছেন ৭৭৫০ জন কৃষক। সন্দ্বীপে ২৪ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমনের
লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রণোদনা পেয়েছেন একশ জন কৃষক। এ ধাপে ৪৮ হাজার কৃষকদের মধ্যে দুই কেজি করে
হাইব্রিড বীজ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে ২৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে সার ও বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। প্রতিজন কৃষককে ১০ কেজি করে ডিএপি, ১০ কেজি করে এমওপি ও ৫ কেজি করে উফশী জাতের বীজ প্রদান করা হবে। এসব প্রণোদনা পাবে মিরসরাইয়ে ৬৭৫ জন, ফটিকছড়িতে ৩১২৫ জন, হাটহাজারীতে ১৮শ জন, রাউজানে ১৮শ জন,
রাঙ্গুনীয়ায় ২৮৭৫ জন, বোয়ালখালীতে ৭৫০ জন, পটিয়ায় ১৮শ জন, কর্ণফুলীতে ৩৫০ জন, আনোয়ারায় ২২শ
জন, চন্দনাইশে ১৩৭৫ জন, লোহাগাড়ায় ১৫৫০ জন, সাতকানিয়ায় ২৭শ জন, বাঁশখালীতে ৪ হাজার জন।

চট্টগ্রামে ১৭৭ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের আদালতে নতুন ৭ বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরসহ
বিভিন্ন স্তরের ১৭৭ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল (সোমবার) আইন,বিচার ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সহাকারী সচিব ( জিপি,পিপি) মো. আব্দুছ ছালাম মতল
স্বাক্ষরিত এই নিয়োগ আদেশ দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের ৭ টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের তিনটিতে নতুন পিপি নিয়োগ করা হয়েছে। অপর চারটিতে থাকা পিপিদের গতকাল পুনঃনিয়োগ আদেশ দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের বিশেষ আদালত ও
ট্রাইবুনালগুলোতে বিশেষ পিপি হিসেবে ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত
পিপি হিসেবে ২৭ জন, মহানগর দায়রা জজ আদালতে ২৬ জন নিয়োগ আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া জেলা আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ৩৮ জন ও মহানগরে ৩০ জন। জেলা ও দায়রা
জজ আদালতের অধঃস্তন আদালতগুলোতে ২৩ জন অতিরিক্ত সরকারী কৌঁসুলি (অতিরিক্ত জিপি) ও ১৬ জন
সহকারী জিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে তিনটি আদালত ছিল। ২০১৮ সালের এপ্রিলে আরও চারটি ট্রাইবুনাল চালু হলেও সেখানে নতুন পিপি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। গতবছর অক্টোবর মাসে
ট্রাইবুনাল ৪ -এ নিখিল কুমার নাথকে পিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল -২ এর পিপি এম এ নাসের বলেন, ৭ টি ট্রাইবুনালের মধ্যে ৩ টি ট্রাইবুনালে পিপি ছিলো না। এতদিন আমরা পিপি শূন্য ট্রাইবুনালে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতাম। এখন বাকি তিন ট্রাইবুনালে পিপি নিয়োগ দেওয়ায় আমাদের উপর চাপ কমবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে নিয়োগ আদেশ হওয়া নতুন পিপিগণ হলেন, ট্রাইবুনাল-৩ জিকো বড়ুয়া,
ট্রাইবুনাল-৫ মো. মহিবুল্লাহ চৌধুরী, ট্রাইবুনাল-৬ এস এইচ হাবিবুর রহমান আজাদ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত
বিচার ট্রাইবুনালে বিশেষ পিপি হিসেবে অশোক দাশ, পরিবেশ আদালতে মো. আব্দুল হান্নান, মানব পাচার
অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে মো. আনোয়ার হোসেন আজাদ, সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনালে রুবেল পালকে বিশেষ পিপি
হিসেবে নিয়োগ আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে শেখ অহিদুল নবীকে প্যানেল আইনজীবী
নিয়োগ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে কলেজে ভর্তিতে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কলেজগুলোর একাদশ শ্রেণিতে
ভর্তির জন্য ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছেন। ৮ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১৫ ডিসেম্বর শেষ
হয়েছে আবেদনের সময়সীমা।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার (২০২২ সালে) এসএসসি পাস করেছেন
১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন। আর কলেজ ভর্তিতে আবেদনে জমা পড়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ জনের। সে হিসেবে
চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এসএসসি উত্তীর্ণের তুলনায় ১ হাজার ৩৩৬ জনের আবেদন বেশি হয়েছে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক বলেন, মূলত আগের বছরের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন
বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা একাদশে ভর্তির আবেদন করায় আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টায় প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ
করা হবে। ১ থেকে ৮ জানুয়ারি নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩২৮
টাকা ফি পরিশোধ করে ভর্তির প্রাথমিক এ নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি
থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ৩ দালাল আটক করেছে পুলিশ।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড থেকে তিন
দালালকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার এবাইদুল হকের ছেলে সোহেল
রানা (২৪), একই জেলার মনোরহরগঞ্জ থানার মনোহরগঞ্জ বাজারের ইফতেখার আহমদের ছেলে ইমতিয়াজ
আহমেদ (২১) ও বোয়ালখালী থানার খরমদী এলাকার মো. ইমন (২৪)।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় হাসপাতালের ৩৩ নম্বর গাইনি ওয়ার্ড থেকে এসব দালালকে আটক করা
হয়েছে বলে জানিয়েছে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর উল্লাহ আশেক।
তিনি বলেন, সন্দেহজনকভাবে তিন ব্যক্তি ঘোরাঘুরি করছিল। তারা রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো।
তাদের গাইনি ওয়ার্ড থেকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর চমেক হাসপাতাল থেকে সাহাব উদ্দিন (২৮) নামে এক দালালকে আটক করে পুলিশ।

Bangladesh It Host