খুলনা বিভাগের ৭৭ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩১, ২০২২, ৬:২২ অপরাহ্ন / ৫২০
খুলনা বিভাগের ৭৭ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগের ৭৭ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
খুলনা কর অঞ্চলের আওতাধিন দশ জেলার ৭৭ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও দশ জেলায় ৭ জন করে ৪টি ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। বুধবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অডিটরিয়ামে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার প্রধান অতিথি থেকে করদাতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার মোঃ সিরাজুল করিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা কর আপীলাত ট্রাইবুনালের সদস্য শফিকুল ইসলাম আকন্দ, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ টি এম জাকির হোসেন, খুলনা কর আপীল অঞ্চলের কমিশনার আ. স. ম. ওয়াহিদুজ্জামান, কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন উপকর কমিশনার মিজ দেলোয়ারা জাহান ও সহকারী কর কমিশনার নাজমুন নাহার। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও খুলনা সিটি কর্পোরশেন ও বিভাগের প্রতিটি জেলায় চারটি ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা দুই জন, নারী করদাতা ১ জন, সর্বোচ্চ করদাতা ৩ জন ও তরুন করদাতা ১ জন মোট ৭ জন এই সম্মাননা লাভ করেছেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দীর্ঘ মেয়াদী করাদাতা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন মোঃ ফারুক হোসেন ও মোঃ শামীম আহসান, নারী কর প্রদানকারী হরিদুন নেছা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মোঃ রুহুল আমীন, মোহাম্মদ জিয়াউল আহসান ও কাজী নিজাম উদ্দিন এবং তরুন কর প্রদানকারী হিসেবে মোঃ রফিকুল ইসলাম। খুলনা জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস ও মহাদেব দত্ত, নারী করদাতা জাকিয়া আসকারী, সর্বোচ্চ করদাতা জয়দেব কুমার মন্ডল, হাসনা হেনা লিজা ও শেখ ওমর ফারুক এবং তরুন করদাতা চিন্ময় সাহা। যশোর জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা হাসমত আলী ও মোঃ শওকত আলী খান, নারী করদাতা উম্মে আইমান, সর্বোচ্চ করদাতা সুশান্ত কৃষ্ণ রায়, মমতাজ বেগম ও মোঃ আব্দুস শামীম চাকলাদার এবং তরুন করদাতা মোঃ আলমগীর কবির। চুয়াডাঙ্গা জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা এ কে এম সাইফুল্লাহ ও মোঃ আব্দুস সালাম, নারী করদাতা সবিতা আগরওয়ালা, সর্বোচ্চ করদাতা মোছাঃ সাইফুন্নাহার আক্তার শাম্মী, মোঃ সহিদুল হক মোল্লা ও মোঃ ওসমান গনি রতন এবং তরুন করদাতা কাজী মোঃ মঈনুদ্দিন সায়েম। মাগুরা জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা মোঃ রফিকুল আলম ও উদয় শংকর সাহা, নারী করদাতা সুপ্তি হক, সর্বোচ্চ করদাতা মোঃ আজিজুল হক, মোঃ রানা আমীর ওসমান ও মোঃ মেহেদী হাসান রাসেল, তরুন করদাতা মোঃ ফয়সাল আহমেদ। সাতক্ষীরা জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা মোঃ মজিবর রহমান ও শেখ রিয়াজুল ইসলাম, নারী করদাতা মোছাঃ তানজীলা খাতুন, সর্বোচ্চ করদাতা মোঃ আবু হাসান, সুকুমার দাশ ও মোঃ মনিরুল ইসলাম, তরুন করদাতা মোঃ মিজানুর রহমান। বাগেরহাট জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা মিসেস রেহানা পারভীন ও মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, নারী করদাতা সাবরিনা শারমিন, সর্বোচ্চ করদাতা শেখ আসলাম আলী, মোঃ আনিসুর রহমান ও নুরুল ইসলাম খোকা এবং তরুন করদাতা মীর রহমত আলী। নড়াইল জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা দিলীপ কুমার রায় ও সাইয়্যেদ আহমাদ আলী, নারী করদাতা শিল্পী রানী কুন্ডু, সর্বোচ্চ করদাতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন খান, এস এম রেজাউল আলম ও আলহাজ¦ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান এবং তরুন করদাতা মোঃ আশরাফুল ইসলাম। কুষ্টিয়া জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা মোঃ আব্দুল লতিফ ও মোঃ জহুরুল ইউসুফ, নারী করদাতা মিসেস পারভীন রহমান, সর্বোচ্চ করদাতা মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ পারভেজ রহমান ও মোঃ শামসুর রহমান এবং তরুন করদাতা মোঃ হাবিবুর রহমান। ঝিনাইদহ জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা মোঃ লুৎফর রহমান ও সৈয়দা হামিদা বেগম, নারী করদাতা মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস, সর্বোচ্চ করদাতা মোঃ কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী, কাজী মাহবুবুর রহমান ও নিখিল কুমার পাল এবং তরুন করদাতা মোঃ আব্দুর রহমান। মেহেরপুর জেলায় দীর্ঘ মেয়াদী করদাতা মোঃ নুরুজ্জামান ও মোঃ ফয়েজ উদ্দীন, নারী করদাতা মনিরা নাজমা, সর্বোচ্চ করদাতা অজয় সুরেকা, মোঃ শাহাবাজ উদ্দিন ও মোঃ নাদিম ইকবাল এবং তরুন করদাতা মোঃ আশিকুল হক।
২০৪১ সালে দেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ -শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। 
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ন্যায়, নিষ্ঠা, ত্যাগ ও পরিশ্রমে দেশ এখন শিক্ষায় আলোয় আলোকিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালে দেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। তিনি বুধবার সন্ধ্যায় খুলনার দৌলতপুর দেয়ানা উত্তরপাড়া ন্যাশনাল ক্লাব আয়োজিত ৩২ দলীয় মিনিবার প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছেছে। দেশের মানুষ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল ভোগ করছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। দেয়ানা উত্তরপাড়া ন্যাশনাল ক্লাবের সভাপতি এস এম রুবায়েত হোসেন বাবু’র সভাপতিত্বে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আবুল কাসেম চৌধুরী, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম বন্দ, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ প্রমূখ এসময় বক্তৃতা করেন। ফাইনাল খেলায় ফারুক স্মৃতি সংসদ চ্যাম্পিয়ন জয়ী হয়। খান জাফর মেমোরিয়াল ক্লাব রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেয়ানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন।
খুলনা জেলায় তিন লাখ ৮০ হাজার শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। আগামী ৭-১২ জানুয়ারি দেশব্যাপী জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২৩ পালন করা হবে । 
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
আগামী ৭-১২ জানুয়ারি দেশব্যাপী জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২৩ পালন করা হবে । এ উপলক্ষে সকালে নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সভাকক্ষে খুলনা জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত বিরতিতে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের জনস্বার্থের জন্য হিতকর এই উদ্যোগকে সফল করতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এই কাজের সাথে যুক্ত করতে হবে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছিন্নমূল পথশিশুদেরও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে। সবার অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রচেষ্টার দ্বারা জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সফল হবে বলে আশা করা যায়। সুস্থ জাতি গঠনে সরকারের এ উদ্যোগ বিশেষ অবদান রাখবে।
সভায় জানানো হয়, ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল এবং কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় বছরে দুইবার কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। সপ্তাহ চলাকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫-১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত শিশু, পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট (মেবেন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে। এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। খাওয়ার পর শিশুরা বমি করলে ভয়ের কিছু নেই। কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, তাই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়। সভায় আরো জানানো হয়, আগামী ৭-১২ জানুয়ারি জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার দুই হাজার তিনশত তিনটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৮০ হাজার তিনশত দুইজন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সভায় জেলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন দপ্তরের মেডিকেল অফিসার মোঃ সাবেতুল ইসলাম, ডাঃ ফাহরিন ফাতমি জাহান, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তাসহ এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম-এর সহযোগিতায় খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এ সভার আয়োজন করে।