খুলনার ডুমুরিয়ার কাবিটা প্রকল্পে কাজ না করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ করা হয়েছে। 


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১১, ২০২৩, ৬:২৭ অপরাহ্ন / ৫০৯
খুলনার ডুমুরিয়ার কাবিটা প্রকল্পে কাজ না করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ করা হয়েছে। 
খুলনার ডুমুরিয়ার কাবিটা প্রকল্পে কাজ না করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ করা হয়েছে। 
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউনিয়নে হতদরিদ্রের ৪০ দিনের শ্রমিক দিয়ে কাবিটা প্রকল্পে কাজ করানো হচ্ছে। আর ১১৯ জন শ্রমিকের মধ্যে ৯ ওয়ার্ডে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৭ জন শ্রমিক অনুপস্থিত থাকছেন। কাজ না করেও দু’দিনের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সরেজমিন যেয়ে এবং একাধিক দায়িত্বশীল সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান (৪০ দিন) কর্মসূচীর আওতায় চলতি অর্থ বছরে ১১৯ জন শ্রমিক রয়েছেন। প্রতি শ্রমিক দিনে ৪’শ টাকা করে মোট ১৬ হাজার টাকা পাবেন। একাধিক প্রকল্পে ৯ ওয়ার্ডে মাত্র ৩ জনকে প্রকল্প চেয়ারম্যান করা হয়েছে। ১১৯ শ্রমিকের মধ্যে ২৭ শ্রমিক কাজে আসে না এমন চিত্র সরেজমিন যেয়ে দেখা গেছে। ফলে সরকারের ২৭ শ্রমিকের পারিশ্রমিক ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা গচ্ছা যাচ্ছে। ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডে মোট ৩৯ জন শ্রমিক রয়েছে। সরেজমিন ১ নম্বর ওয়ার্ডে যেয়ে দেখা যায় ১০ জন শ্রমিক কর্মরত। কর্মরতরা হচ্ছেন রিনা বেগম, লিমা বেগম, শাকুরা বেগম, বিজলী রানী, জবেদা বেগম, হামিদা বেগম, কহিনুর বেগম, মুসলিমা বেগম, সাকিব হোসেন ও শরিফা। ২ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ১১ জন হলেন, সাধন গাইন, আব্দুর রহিম, আব্দুল লতিফ, সানু, মনমোতন গাইন, জিতু গাজী, সাবিত্রী রানি, আরতি মন্ডল, রিজিয়া বেগম, খুকু মনি ও নুরজাহান বেগম। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ১১ জন হলেন, মনিমোহন মন্ডল, বনমালী, আমেনা বেগম, রোকেয়া বেগম, আলেয়া বেগম, আম্বিয়া বেগম, জবেদা বেগম, রঞ্জিদা বেগম, আছোরা বেগম, পরিমল দাস ও তাপসী পাল। মোট ৭ জন অনুপস্থিত এ তিন ওয়ার্ডে। ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ৬ জন হলেন, শিফালী, শিমুল, লিপিকা, গফ্ফার, প্রভাতী ও শান্তিলতা। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ১১ জন হলেন, হযরত শেখ, রেবেকা বেগম, লক্ষী রানী, সরস্বতী রানী, রুবিনা বেগম, রেক্সনা বেগম, আনারুল, রওশন, ভোলানাথ, রাবেয়া ও রুমা। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ১১ জন হলেন, ডলি বেগম, মুর্শিদা বেগম, রোকেয়া বেগম, আনোয়ারা বেগম, রোজিনা বেগম, সুফিয়া বেগম, বন্ধনা রানী, বানী দাস, মহিলা মেম্বরের স্বামী রেজাউল ইসলাম, রফিক, মনিরুল ও তৌহিদ। এ ৩ ওয়ার্ডে ১২ জন অনুপস্থিত। ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০ জন শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ৮ জন হচ্ছেন, রাজ্জাক, রোস্তম আলী, হাসেম, জামির হোসেন, রশিদা বেগম, মনোয়ারা বেগম, হামিদা বেগম ও শান্ত। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ জন কর্মরত হচ্ছেন হাসেম সরদার, আবুল হোসেন, মান্নান, ফরহাদ, বাহারুল, মজিদ, কামরুল, আল আমিন, বিউটি, রেহেনা, রিজিয়া, রিনা, লাইলি, শাহিনুর ও ভানুয়ারা । ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মরত ৯ জন হলেন, শামীম গাজী, ইছহাক মোড়ল, মনিরুল মোল্লা, সেলিম শেখ, মিজানুর রহমান, শোভা রানী, মর্জিনা বেগম, রানু বেগম ও সাথী। রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ বলেন, প্রচন্ড শীতের কারণে কাজের গতি কম তবে শ্রমিক উপস্থিতি ঠিক আছে। তবে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যেয়ে দেখা যায় ৪০ দিনের ৯ জন শ্রমিক হাসানপুর আবাসনের পাশে ৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার কাবিটা প্রকল্পের রাস্তায় কাজ করছেন। শ্রমিকদের কাছে সেখানে কাজ করার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ইউপি মেম্বর রফিকুল ইসলাম সাহেব আমাদের এখানে কাজ করতে বলেছেন। ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, কাবিটা প্রকল্পের চেয়ারম্যান আমি। ৪০ দিনের শ্রমিক দিয়ে ওই প্রকল্পে ঘাস লাগানো ও অন্যান্য কাজ করানো হচ্ছে। এদিকে এ ইউনিয়নে ১ দিন পরে কাজ শুরু করা হয়েছে এবং বড় দিনে কোন কাজ করানো হয়নি শ্রমিকদের দিয়ে। এ দু’দিনের টাকা উত্তোলনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, শ্রমিক কম আছে কিনা আমার জানা নেই। প্রকল্পটি দেখভাল করেণ ইঞ্জিনিয়ার রাসেল আহমেদ। শ্রমিক কম হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৪০ দিনের শ্রমিক দিয়ে কাবিটা প্রকল্পে কাজ করানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এমনটি হওয়ার কথা না। যদি এ ঘটনা সত্য হয় অবশ্যই প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনার বটিয়াঘাটার খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম,অর্থবানিজ্য ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সমরেশ মিস্ত্রি খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা এর প্রতিনিধি হিসেবে খুলনার সরকারী পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ঝর্ণা রানী হালদার নিয়োগ বোর্ডে প্রতিনিধিত্ব করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তার আপন ছোট বোনের স্বামী ডুমুরিয়ার বান্দা কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী অধ্যাপক অনিমেষ কুমার মিস্ত্রিকে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিমা রানী দাস ও শিক্ষক প্রতিনিধি দীনবন্ধু বর্দ্ধন অনিমেষ কুমার মিস্ত্রির নিকট থেকে বড় অংকের অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেন। তবে অধ্যক্ষ নিয়োগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটাকে অমান্য করে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠতা বিধি লঙ্ঘন করে সর্বকনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ প্রভাষক দীনবন্ধু বর্দ্ধনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিলে কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর ও পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, খুলনা অঞ্চলের নির্দেশ উপেক্ষা করে পূণরায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে চারজন সহকারী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক অনিমা রানী দাসকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর সে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন। যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত। যার কারনে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে। অপরদিকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ অনিমেষ কুমার মিস্ত্রির সকল কার্যক্রম স্থগিতসহ তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সম্প্রতি খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চালনা কলেজের সহকারী অধ্যাপক সমরেশ কুমার মিস্ত্রি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অধ্যক্ষ নিয়োগসহ কলেজের বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
সরকারী পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অস্বীকার করে বলেন, কোন ধরণের স্বজনপ্রীতি কিংবা অনিয়ম হয়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, অভিযোগের বিষয়টি অবহিত নয়। খোঁজ নিচ্ছি। আর অভিযোগ হলে অবশ্যই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
করমজলের কুমির রপ্তানিতে সম্ভাবনার হাতছানি। 
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলের প্রজনন কেন্দ্রের কুমির রপ্তানির সম্ভাবনা বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া কুমিরই সুন্দরবনে কুমিরের বিলুপ্তি ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ২০৬টি বড় কুমিরের বাচ্চা সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। আরও ৫টি কুমির চট্টগ্রামের ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে এবং ৩টি পাঠানো হয়েছে ভোলায়। এখনো প্রজনন কেন্দ্রে ৪টি বড় কুমিরসহ ৯২টি বাচ্চা রয়েছে। এই প্রজনন কেন্দ্র থেকে কুমির বিদেশে রপ্তানির স্বপ্ন দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বনবিভাগ-সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিডরে ভেসে গেছে ৭৫টি কুমির, বিভিন্ন কারণে কুমির মারা গেলেও চিতা বিড়াল মেরে ফেলেছে ৬২টি বাচ্চা। খাদ্যে পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তবুও প্রজনন বাড়ায় এই কেন্দ্রের কুমির রপ্তানির সম্ভাবনা বাড়ছে। জানা যায়, সুন্দরবনের দুবলারচরে ১৯৯৭ সালে লবণ পানি প্রজাতির কুমির ধরা পড়ার পর স্বপ্ন দেখা শুরু করে বনবিভাগ। তারা তখন কুমিরের বংশ বৃদ্ধির প্রাথমিক কাজ শুরু করে। এরপর ২০০২ সালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলে ৮ একর বনাঞ্চলে কুমির প্রজনন কেন্দ্র চালু করে। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রজনন কেন্দ্রের জন্য সেসময় ব্যয় ধরা হয় ২৩ লাখ টাকা। ২০০২ সালে প্রজনন কেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেও বাচ্চা দেয় তিন বছর পর ২০০৫ সালে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরে এই কেন্দ্রের ৭৫টি কুমিরকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এরইমধ্যে ২০৬টি বড় কুমিরের বাচ্চা সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচটি কুমির চট্টগ্রামের ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে ও তিনটি পাঠানো হয় ভোলায়। কুমির প্রজনন কেন্দ্র করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, এই কেন্দ্রে বর্তমানে রোমিও ও আলেকজেন্ডার নামে দুইাট পুরুষ এবং জুলিয়েট ও পিলপিল নামের দুটি মা কুমির ও ৯২টি বাচ্চা কুমির রয়েছে। রোমিও-জুলিয়েটের বয়স এখন ৪০ বছর। নেই পর্যাপ্ত ওষুধ ও খাবারের সরকারি বরাদ্দ। লোকবলসহ এসব সংকট দূর হলে কুমির রক্ষায় এই কেন্দ্রটি আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। এই প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া কুমিরই সুন্দরবনে কুমিরের বিলুপ্তি ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। হাওলাদার আজাদ কবির আরো বলেন, খাদ্য বরাদ্দ, লোকবল ও চিকিৎসাসেবা বাড়ালে এ প্রজনন কেন্দ্র থেকেই কুমির রপ্তানি সম্ভব।
খুলনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের কম্বল বিতরণ করেছে । 
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
অসহায় দু:স্থ্য ছিন্নমুল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরন করেছে খুলনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন [ কেডিএফ]। সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে খুলনা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এই শীতবস্ত্র বিতরন কর্মসূচি প্রধান অতিথি হিসাবে উদ্ধোধন করেন খুলনা মেট্রেপলিটন পুলিশের ডিসি সাউথ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শ্যামল সিংহ রায় । শীতবস্ত্র বিতরনের আগে কেডিএফ পক্ষ হতে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধান অতিথিকে স্বাগত জানান খুলনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম । পরে কেডিএফ চেয়ারম্যান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন ,অতীতের ন্যায় দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহ প্রচন্ড শীতে অসহয় ,দু:স্থ্য মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছেন কেডিএফ । আগামীতেও যে কোন প্রয়োজনে কেডিএফ এই সহয়তা প্রকল্প অব্যাহত রাখবে। প্রধান অতিথি কেএমপি,র ডিসি সাউথ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম কেডিএফ এর উদ্ব্যোগকে সাধুবাদ জানান,বলেন সমাজের বিত্তবান মানুষেরা এভাবে এগিয়ে আসলে অসহয় মানুষের দু:খ কষ্ট লাগব হবে। পরে অতিথিদ্বয় হাত দিয়ে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, কেডিএফ উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, জিএম শহিদুল ইসলাম, শাখাওয়াত হোসেন, মো: বাহলুল আলম, শিরিনা পারভিন ,ফারহানা চৌধুরী মনোয়ার হোসেন লাবলু, মফিজ মজুমদার, মো: হুমায়ন কবীর, আলমগির হোসেন।
খুলনায় মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন হবে এক মঞ্চে। 
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
সারাদেশের মধ্যে প্রথম খুলনায় মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন হবে এক মঞ্চে। বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। মঙ্গলবার বিকালে নগরীর শঙ্খ মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন ২৪ জানুয়ারী খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খুলনার সার্কেট হাউজের শহীদ শেখ রাসেল টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন, খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অভিভাবক ও বাগেরহাট ০১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি, খুলনা ০২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শ্রম ও কর্ম সংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। তিনি বলেন সম্মেলনের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয় নিশ্চিতে বিএনপি জামায়াত জোটকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হবে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে তারা তাদের কর্ম ও সাংগঠনিক দক্ষতায় খুলনা যুবলীগের দূর্গ গড়ে তুলবে। কোন প্রকারেই দেশ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনাকারী চক্রকে ছার দেওয়া হবে না। জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল এর সভাপতিত্বে ও নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন এর পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মৃনাল কান্তি জোয়ার্দার, খুলনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাডঃ নবীরুজ্জামান বাবু, নগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। প্রস্তুতি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগ এর আহবায়ক কমিটির সদস্যগন ও জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগন এবং নগরের অন্তর্গত ওয়ার্ড ও থানা, জেলার অন্তর্গত উপজেলা ইউনিটের সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক /যুগ্ম আহবায়ক বৃন্দ।