Dhaka ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“খুলনার দাকোপ খেঁয়া ঘাটের বেহাল দশা: ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • ৩১৮ Time View
খুলনার দাকোপ খেঁয়া ঘাটের বেহাল দশা: ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার
মোঃ শামীম হোসেব- খুলনা
খুলনার দাকোপের দাকোপ খেঁয়া ঘাটটি যানবাহন ও জনসাধারন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। বিশেষ করে নদী ভাঙনের কারনে ঘাটের রাস্তাটি ঢাকি নদীতে বিলীন হওয়ার কারনে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। দ্রুত রাস্তাটি মেরামত না করলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্খা করছে যাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট রাস্তাটি নির্মানের দাবী জানিয়েছে তারা। জানা যায়, দাকোপ খেয়াঘাটটি উপজেলার একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন খেয়াঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন নদী পার হয় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। এই খেয়া ঘাট ইজারা দিয়ে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ এর কোন সংষ্কার না হওয়ায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এই ঘাট দিয়ে নদী পার হতে আশা মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখনি হতে হচ্ছে। সরেজমিনে দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত দাকোপ খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায় ঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ। নদী ভাঙনের কারনে ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটি অনেক ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। ঢাকি নদীতে ওয়াপদা রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ ভেঙ্গে গেছে। অবশিষ্ট যে অংশ আছে তার উপর দিয়ে জীবরেন ঝুঁকি নিয়ে মানুষ, মটর সাইকেল ও ভ্যান খেয়ার ট্রলারে উঠছে। তাছাড়া সরু রাস্তার উপর দিয়ে খেয়া ট্রলারে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু, কিশোর, গুরুতর অস্বুস্থ্য রোগী, মটর সাইকেল চালক ও ভ্যান চালকদেরকে। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। কথা হয় খেয়া পার হতে আসা দাকোপ সিটিবুনিয়া এলাকার অচিন্ত রায়ের সাথে তিনি জানান, এই খেয়া ঘাটটি উপজেলার অনেক পুরাতন খেয়া ঘাট। সরকার প্রতি বছর এই ঘাট থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে। তার পরও ঘাটটির উন্নয়নে কারো মাথাব্যাথা নেই। প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘাট দিয়ে নদীপার হয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এখানে ভাটার সময় পার হতে হলে অনেক কষ্ট করে ট্রলারে উঠতে ও নামতে হয়। তিনি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সুতারখালী এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আমিনুল সরদার বলেন, আমি প্রতি দিন মাছ নিয়ে এই ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে চালনা মাছের আড়তে যাই। ঘাটটির অবস্থা অনেক খারাপ হওয়ায় মালামাল নিয়ে পার হতে অনেক সমস্যা হয়। কামারখোলা এলাকার মোটর সাইকেল চালক অনিশেষ রায় জানান, ঘাটের তিন পড়ের অবস্থাই খারাপ। বিশেষ করে চালনার পাড়ের ঘাট দিয়ে মোটর সাইকেল উঠানামা করতে বেশি অসুবিধা হয়। তিনি ঘাটটি সংষ্কারের দাবি জানান। পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ জানান, ঘাটটির অবস্থা খুবিই নাজুক। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এটি সংষ্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, খেয়া ঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

শেরপুর হাইও‌য়ে পু‌লিশ ক‌্যাম্প প‌রিদর্শন কর‌লেন পু‌লিশ সুপার!

“খুলনার দাকোপ খেঁয়া ঘাটের বেহাল দশা: ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার”

Update Time : ০৩:৫১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
খুলনার দাকোপ খেঁয়া ঘাটের বেহাল দশা: ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার
মোঃ শামীম হোসেব- খুলনা
খুলনার দাকোপের দাকোপ খেঁয়া ঘাটটি যানবাহন ও জনসাধারন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে। বিশেষ করে নদী ভাঙনের কারনে ঘাটের রাস্তাটি ঢাকি নদীতে বিলীন হওয়ার কারনে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। দ্রুত রাস্তাটি মেরামত না করলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্খা করছে যাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট রাস্তাটি নির্মানের দাবী জানিয়েছে তারা। জানা যায়, দাকোপ খেয়াঘাটটি উপজেলার একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন খেয়াঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন নদী পার হয় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। এই খেয়া ঘাট ইজারা দিয়ে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ এর কোন সংষ্কার না হওয়ায় এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এই ঘাট দিয়ে নদী পার হতে আশা মানুষকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখনি হতে হচ্ছে। সরেজমিনে দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত দাকোপ খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায় ঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ। নদী ভাঙনের কারনে ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটি অনেক ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। ঢাকি নদীতে ওয়াপদা রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ ভেঙ্গে গেছে। অবশিষ্ট যে অংশ আছে তার উপর দিয়ে জীবরেন ঝুঁকি নিয়ে মানুষ, মটর সাইকেল ও ভ্যান খেয়ার ট্রলারে উঠছে। তাছাড়া সরু রাস্তার উপর দিয়ে খেয়া ট্রলারে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু, কিশোর, গুরুতর অস্বুস্থ্য রোগী, মটর সাইকেল চালক ও ভ্যান চালকদেরকে। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। কথা হয় খেয়া পার হতে আসা দাকোপ সিটিবুনিয়া এলাকার অচিন্ত রায়ের সাথে তিনি জানান, এই খেয়া ঘাটটি উপজেলার অনেক পুরাতন খেয়া ঘাট। সরকার প্রতি বছর এই ঘাট থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে। তার পরও ঘাটটির উন্নয়নে কারো মাথাব্যাথা নেই। প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘাট দিয়ে নদীপার হয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এখানে ভাটার সময় পার হতে হলে অনেক কষ্ট করে ট্রলারে উঠতে ও নামতে হয়। তিনি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সুতারখালী এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আমিনুল সরদার বলেন, আমি প্রতি দিন মাছ নিয়ে এই ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে চালনা মাছের আড়তে যাই। ঘাটটির অবস্থা অনেক খারাপ হওয়ায় মালামাল নিয়ে পার হতে অনেক সমস্যা হয়। কামারখোলা এলাকার মোটর সাইকেল চালক অনিশেষ রায় জানান, ঘাটের তিন পড়ের অবস্থাই খারাপ। বিশেষ করে চালনার পাড়ের ঘাট দিয়ে মোটর সাইকেল উঠানামা করতে বেশি অসুবিধা হয়। তিনি ঘাটটি সংষ্কারের দাবি জানান। পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ জানান, ঘাটটির অবস্থা খুবিই নাজুক। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এটি সংষ্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, খেয়া ঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।