“খুলনার দাকোপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ঘর-বাড়ি ও বেড়িবাঁধের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি”


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৬, ২০২২, ৩:৩৯ অপরাহ্ন / ৩৩৬
“খুলনার দাকোপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ঘর-বাড়ি ও বেড়িবাঁধের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি”
“খুলনার দাকোপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ঘর-বাড়ি ও বেড়িবাঁধের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি”
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা
খুলনার দাকোপে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আঘাতে বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধের ৭টি স্থানে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি পাতের সাথে সাথে দমকা হাওয়ায় প্রায় ৩ শতাধিক ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষ মঙ্গলবার সকালে নিজ গৃহে ঘরে গিয়েছে বলে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ ও সকলের সহযোগিতা থাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আঘাতে বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার দিনভর বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া ছিলো। রোববার মধ্যেরাত থেকেই সোমবার রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রচন্ড বৃষ্টির সাথে সাথে দমকা ঝড়ো হাওয়া বাড়তে থাকে  এদিকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। উপকূলীয় বাসীদের রক্ষার্থে পুলিশ সদস্য বৃন্দ,ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী,স্বাস্থ্য বিভাগের ্এ্যাম্বুলেন্সসহ স্বেচ্ছাসেবক এর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন ১ হাজার ৯শত জন সিপিপি সদস্যকে। প্রস্তুত রাখা হয় ১১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রত্যন্ত এলাকার প্রস্তুত রাখা স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ঝড়ে প্রায় ২শতাধিক গাছপালা পড়ে গেছে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া দুর্গত মানুষের মাঝে শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেন। সোমবার সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হয়। এবারের দুর্যোগ মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় সফলতা এলাকার কোথাও কোন বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় নদ-নদীতে জোয়ারের পানি  সাভাবিক অপেক্ষা ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকায় পাউবোর ৩১নং পোল্ডারের খলিশা,পানখালী জাবেরের খেয়া ঘাটের পাশে, ঝালবুনিয়া, বটবুনিয়া, কামিনী বাসিয়া ও গড়খালী গ্রামের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস জানান, আমরা প্রতিটি এলাকাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এলাকা ভিত্তিক সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। এলাকার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সিপিপি কর্মীসহ এলাকাবাসীর সর্বাত্বক সহযোগিতা থাকায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছি।