খুলনার দাকোপের ত্রিমোহনী স্টেডিয়াম রক্ষার্থে আমাদের যা করণীয় তা করতে আমরা প্রস্তুত- এলাকাবাসীর ভাষ্য।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৮, ২০২৩, ৭:২২ অপরাহ্ন / ৫২৭
খুলনার দাকোপের ত্রিমোহনী স্টেডিয়াম রক্ষার্থে আমাদের যা করণীয় তা করতে আমরা প্রস্তুত- এলাকাবাসীর ভাষ্য।
খুলনার দাকোপের ত্রিমোহনী স্টেডিয়াম রক্ষার্থে আমাদের যা করণীয় তা করতে আমরা প্রস্তুত- এলাকাবাসীর ভাষ্য।
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
ত্রিমোহনী স্টেডিয়াম রক্ষার্থে আমাদের যা যা করণীয় তা করতে আমরা প্রস্তুত কথা গুলো বলেছেন এলাকার আপামর জনসাধারণ। তারা বলেন এই হচ্ছে আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শিত অসাম্প্রদায়িক আলোকিত ত্রিমোহনী ক্রীড়াঙ্গন। এই মাঠ আমাদের জন্মভূমি। দাকোপে ত্রিমোহনী নামটা অতি পরিচিতির মূল কারণ এই মাঠ। এখান থেকেই আমাদের পরিচয় আজ পৌঁছে গেছে জাতীয় পর্যায়ে। সাম্প্রতিক আমাদের মাঠ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বাজেট হওয়ায় এই পাঁচটি ইউনিয়ন বাসির খুশি যেনো উপচ্ছে পড়ছিলো, কিন্তু মাঠ মাপের সময় দেখলাম তার ভিন্নরূপ। ত্রিমোহনী ক্লাবের উন্নতম খেলোয়াড় রাজেস মন্ডল বলেন মাঠের সিমানার মাঝেই গড়ে উঠবে দুইতলা ভবন, পঞ্চিম পাশের গোলবার এর সামনে হবে বড় গ্যালারী আর গোলবার যাবে আরো পূর্ব দিকে যেখানে এমনে পুকুরে ভেঙ্গে আমাদের মাঠ ১০ হাত কমে আছে। সেখানে কিনা আরো ৩০ হাত কমে যাবে মানে ৭ জন করে খেলোয়ার ঠিকঠাক খেলতে পারবে না, আর ক্রিকেট টুর্নামেন্টের এর কথা তো ভুলেই যেতে হবে। আমি সেই ছোট থেকে দেখে এসেছি এই মাঠে মুষলধারা বৃষ্টি অবস্থায় হাজার হাজার ছাতা, কলার পাতা, পলিথিন পেপার,কচুর পাতা,বিভিন্ন পেনা মুড়ি দিয়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে হাজার দর্শক খেলা উপভোগ করে আসছে। আমরা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সুন্দরবন ঘেষা কাদামাটি চটকিয়ে বড় হয়েছি, টুকটাক বর্ষা-কাদায় খেলা দেখায় আমরা অভ্যাস্ত, মাঠের সিমানা সরু করে গ্যালারীতে খেলা দেখার সখ আমাদের নাই। ছবিতে আপনারা দেখেছেন গাছে কতো দর্শক উঠে খেলা দেখছে প্রয়োজনে আমরা আরো কিছু গাছ লাগিয়ে কৃত্রিম গ্যালারী সৃষ্টি করে নিবো কিন্তু মাঠ মেরে আমরা গ্যালারী বড় বড় বিল্ডিং চাই না। মাঠের উন্নয়ন আমরা চাই কিন্তু মাঠ সরু করে নয়, যদি অন্য কোন ব্যাবস্থা থাকে তাহলে আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তা দের অনুরোধ করছি আপনারা সেই ব্যাবস্থা নেন। অন্যথায় যেভাবে আছে সেভাবেই থাক। একটা অনুষ্ঠান আসতে গেলেই আমাদের মা বোনেরা ১ মাস আগে থেকেই আমাদের কাছে শুনতে শুরু করে এবার মাঠে কি আয়োজন, আমাদের জন্য দক্ষিণ প্রান্তে আলাদা জায়গা করে রেখো যেনো আমরা খেলা, ডিসপ্লে অনুষ্ঠান দেখতে পারি, মা বোনরা যদি শোনে যে মাঠ সরু করে দক্ষিণ পাসের জায়গা থাকছে না তাহলে কিন্তু ঝামেলা আছে, গ্রামের মহিলারা তো বোঝেন। আপনাদের সাথে আমাদেরও বের করে দিবে ভিন্ন রুপে। সর্বশেষ সকল উপরস্থ কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ রাখছি আপনারা এই বিষয় টা বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখবেন এবং ভালো কিছু উপহার দিয়ে ত্রিমোহনী স্টেডিয়ামকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শগত অসাম্প্রদায়িক আলোকিত স্টেডিয়ামে পরিনতি করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। বিষয়টি কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিহির মন্ডলকে অবহিত করা হলে তিনি সরজমিনে মাঠে এসে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালী কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। মূল মাঠ ঠিক রেখেই কাজ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম মেনে নেয়া হবে না। ত্রিমোহনী স্টেডিয়ামের এই খারাপ খবরটি সংরক্ষিত আসনের এমপি গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন।