“খুলনার দাকোপের খোনা গ্রামে ভোগদখলী সনজিত বাওয়ালীর ১৬.৯৫ একর জমি ডিসিআর”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
মৌজা খোনা গ্রামের ১৬.৯৫ একর জমি জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ক্রমে দাকোপ উপজেলা সার ভিউয়ার ইজারাদারকে বুঝিয়ে দিলেন। খুলনার দাকোপ উপজেলার ১নং পানখালী ইউনিয়নের ৮ নং ও য়ার্ডের খোনা গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সনজিত বাওয়ালী পিং মৃত সুনীল বাওয়ালী দাকোপ খুলনা এর সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা বিনয় মন্ডল পিং মৃত নিরোধ মন্ডলের সাথে বিরুদ্ধ চলছিল। সনজিত বাওয়ালী সাংবাদিকদেরকে বলেন, এই জমি নিয়ে জেলা কোর্ট, দায়রা জজ কোর্ট, সহ হাই কোর্টের রায় আমার পক্ষে। তিনি আরো বলেন গত ইং ১৯/১১/২২ তারিখ সর্ব শেষ রায় আমার পক্ষে থাকা শর্তে কিভাবে জমি ডিসিআর হয়। আমি বুঝতে পারলাম না। সনজিত বাওয়ালী তিনি দাকোপ উপজেলা সার ভিউয়ার মহদায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার জমি যে সরকারী ডিসির হয়েছে। সেটা কোন কিছু না জানিয়ে আমার জমির উপর সাইনবোর্ড সহ লাল পতাকা দিয়ে জমির নিশানা সঠিক করা হলো, আর কেনই বা পূর্বের সাবেক ইজারাদার জনাব হারুন অর রশিদ সাহেবকে কিভাবে তার ইজারা বহল থাকলো। এ বিষয় সরজমিনে উপস্থিত থাকা দাকোপ উপজেলা ভূমি অফিসের দায়িত্বে থাকা সুযোগ্য সারভিয়ার জনাব হাফিসুর রহমান বলেন, আমি সরকারি কর্মচারী, আমাকে সরকার যে আদেশ প্রদান করবেন, আমি তৎক্ষনিক ভাবে পালনে প্রস্তুত। তাই আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশ গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে। যদি করো কোন অভিযোগ থাকে সেটা কাগজ কলমে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্ব শেষ সাংবাদিকদের সাথে সনজিত বাওয়ালী বলেন, তিনি উচ্চ আদালতে বিচারের জন্য যাবেন এবং সুষ্ঠ বিচারের জন্য এলাকায় মানববন্ধন করবেন বলে জানান তিনি।
“খুলনার দাকোপে পরিবেশ সুরক্ষা ও সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে ১০ দফা ঘোষনা শিক্ষার্থীদের”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনার দাকোপের পরিবেশ সুরক্ষা ও সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ১০ দফা ঘোষনা। সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রুপান্তরের সহযোগিতায় বেলা ১১ টায় উপজেলা সদর চালনা পৌরসভা চত্বরে চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস সভাপতিত্বে র্যালি, প্রচার অভিযান ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন রুপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ অধ্যাপক মোঃ আনায়ারুল কাদির, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন, রুপান্তরের পরিচালক মোঃ ফারুক আহম্মেদ, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ, ইউপি চেয়ারম্যান মানস কুমার রায়, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছাব্বির আহম্মেদ। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাশ, ফিল্ড অফিসার মোঃ গোলাম মোস্তফা,বাপ্পি সাহা,প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ মহিদুল ইমলাম ভূঁইয়া (শিপন),সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ,সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতিক দাকোপের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সুরক্ষা এবং বজ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রচারভিযান পরিচালনা করেছে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে দাকোপের বজ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে প্রত্যান্ত এ উপজেলার স্কুল শিক্ষার্থীদের পক্ষে দশম শ্রেণী পড়–য়া শিক্ষার্থী পুপলি বৈরাগী ১০ দফা ঘোষনা করেছে। ঘোষিত দশ দফা গুলি হলো- সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী এবং কার্যকর সমাধান খুজে বের করতে হবে। বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এ উপজেলাকে রোল মডেল করতে উদ্যোগ নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাত মোকাবেলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে উপজেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিগণ সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে চালনা পৌরসভাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লঅ আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাস্তার ও নদীর দুপাশে দিয়ে সবুজ বনায়ন তৈরী করতে হবে। ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নিদিষ্ট স্থান করে দিতে হবে। এর অন্যথা হলে শাস্থিও ব্যবস্থা করতে হবে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আলাদা মনিটরিং টিম গঠন করার উদ্যোগ নিতে হবে। এই টিমে শিক্ষার্থীদের রাখতে হবে। পৌরসভা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে সমন্বিত ভাবে সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কমপক্ষে তিনমাস অন্তর প্রচারভিযানের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ^ ঐতিহ্য সুন্দরবন সুরক্ষায় উপকূলীয় মানুষদের সক্রিয় করে তুলতে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে স্কুল পর্যায়ে নিয়মিত প্রচারভিযান পরিচালনা করতে হবে। উল্লেখ্য সম্প্রতি পরিবেশ সুরক্ষা ও সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর স্কুল পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগীতা, চিত্রাঅংকন, রচনা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানাস্আপদের মাঝে ক্রেস প্রদান করা হয়েছে।
“খুলনা জেলায় পহেলা ডিসেম্বর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন শুরু”
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি হতে ইস্যুকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী এবং খুলনা জেলায় বসবাসরত অন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি হতে ইস্যুকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী ব্যক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান, ডিলার, এবং মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান ও সেফ কিপিংদের লাইসেন্স ২০২৩ সালের জন্য বার্ষিক নবায়ন আগামী ১ ডিসেম্বর হতে শুরু হবে। আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত ফি (ভ্যাটসহ) ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে চালানের মূল কপি, লাইসেন্সের মূল কপি, লাইসেন্সভূক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে উপস্থিত হয়ে নবায়ন সম্পন্ন করতে হবে। আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় বা সেফ কিপিং এ জমা থাকলে তার রশিদ প্রদর্শন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রূপসা উপজেলার লাইসেন্সধারীরা ১ ডিসেম্বর; তেরখাদা ৪ ডিসেম্বর; দিঘলিয়া ৫ ডিসেম্বর; ফুলতলা ৬ ডিসেম্বর; ডুমুরিয়া ৭ ডিসেম্বর; বাটিয়াঘাটা ৮ ডিসেম্বর ও দাকোপ উপজেলা ১১ ডিসেম্বর সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা হতে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। পাইকগাছা এবং কয়রা উপজেলার লাইসেন্সধারীরা ১২ ডিসেম্বর তারিখে সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। এছাড়া খুলনা সদর ও খালিশপুর মেট্রোপলিটন থানা এলাকার লাইসেন্সধারীরা ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর (ছুটির দিন ব্যতীত); সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা ও লবনচরা মেট্রোপলিটন থানা ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর; দৌলতপুর, আড়ংঘাটা ও খানজাহান আলী থানা ২২ ও ২৬ ডিসেম্বর তারিখে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা হতে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান, ডিলার এবং মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান বা সেফ কিপিংরা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখে বাদপড়া লাইসেন্সধারীগণ এবং খুলনা জেলায় বসবাসরত অন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি থেকে ইস্যুকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণ ২৯ ডিসেম্বর তারিখে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।