খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে চলছে ঘের ব্যবসা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের বেড়িবাঁধ। 


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১২, ২০২২, ৬:৪১ অপরাহ্ন / ৫৬৩
খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে চলছে ঘের ব্যবসা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের বেড়িবাঁধ। 
খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে চলছে ঘের ব্যবসা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের বেড়িবাঁধ। 
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা
সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা উপজেলায় বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে ও পাইপ ঢুকিয়ে লবণ পানি উঠিয়ে চলছে ঘের ব্যবসা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের বেড়িবাঁধ। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। নোনা পানির বিরূপ প্রভাবে উজাড় হচ্ছে বনজ ও ফলদ সম্পদ। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়রা উপজেলার ১৩/১৪-১ ও ১৩/১৪-২ এই দুই পোল্ডারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধে চার শতাধিক স্থানে বাঁধের নিচে পাইপ ঢুকিয়ে বা ছিদ্র করা হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার লোকা, মঠবাড়ি, দশালিয়া, শিকারিবাড়ি ক্লোজার, নয়ানি স্লুইসগেটসংলগ্ন এলাকা, কাটকাটা, গাজীপাড়া, ৬ নম্বর কয়রা, গোবরা, ঘাটাখালি, হরিণখোলা, মদিনবাদ লঞ্চঘাট, জোড়শিং, আংটিহারা, গোলখালি এলাকার ঘেরমালিকেরা বাঁধ কেটে অথবা ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে নদীর পানি ঘেরে তুলে চলেছেন। এতে এসব এলাকার প্রায় ২১ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে কয়রা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, ‘উপজেলায় এখন ৬ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে নোনা পানির চিংড়ি চাষ হচ্ছে। এর অধিকাংশ ঘেরেই লবণ পানি তুলে সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করা হয়। আমরা চাষিদের উৎসাহিত করছি সেমিইনটেনসিভ বা আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে।পাউবোর বেড়িবাঁধে চার শতাধিক স্থানে বাঁধের নিচে পাইপ ঢুকিয়ে বা ছিদ্র করা হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ২১ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এসব স্থান দিয়ে সারা বছরই অবাধে নদী থেকে নোনা পানি তুলে চিংড়ি চাষ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা চিংড়ি চাষের সঙ্গে জড়িত বলে কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। তাঁরা আরও বলেন, ২০২২ সালের প্রথম দিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাঁধে বসানো অবৈধ পাইপ অপসারণের কাজে নেমেছিল পাউবো। এ জন্য সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল চিংড়িচাষিদের। কাজের কাজ কিছু হয়নি। ঘেরমালিকেরা নির্বিঘ্নে তাঁদের কাজ চালিয়ে আসছেন। পাউবো কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা বললেও তেমন কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। উপজেলার নদীভাঙনকবলিত গোবরা এলাকার কৃষক তৈয়েবুর রহমান ও মেসবাহউদ্দিন বলেন, নোনা পানির চিংড়ি চাষের প্রভাবে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বাঁধ ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া পুকুরে মাছ নেই। হাজার হাজার ফলদ ও বনজ বৃক্ষ মরে যাচ্ছে। গ্রামে হাঁস-মুরগি প্রায় বিলুপ্ত হচ্ছে। আর সবজির খেত তো চোখেই পড়ে না। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও মিষ্টি পানির মৎস্যসম্পদ এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। পরিবেশও হুমকির মুখে পড়েছে। কয়রার পাথরখালী গ্রামের অঞ্জলি মুন্ডা ও ৬ নম্বর কয়রা এলাকার আশিকুজ্জামাম বলেন, নোনা পানির চিংড়ি চাষের প্রভাবে প্রতিবছর নদীর বাঁধ ভাঙছে। এ ছাড়া এলাকার বিলে-খালে দরিদ্র মানুষগুলোর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে নোনা পানির চিংড়িচাষিরা ছোট নদী-খালগুলো অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন। ফলে দরিদ্র মানুষ উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হয়ে কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন। কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন, কয়রার বিভিন্ন পোল্ডারে বেড়িবাঁধ কাটার ফলে তা এখন দুর্বল ও হুমকির মুখে পড়ছে। দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান থাকছে না। পরিবেশ রক্ষায় অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ কেটে নোনা পানির চিংড়ি চাষ বন্ধ হওয়া দরকার। এ ছাড়া ওই সব চিংড়িচাষির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কয়রা উপজেলাটি পড়েছে পাউবোর সাতক্ষীরা অঞ্চলের বিভাগ-২-এর আওতায়। ওই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, যাঁরা অবৈধভাবে বেড়িবাঁধ কেটে বা ছিদ্র করে নোনা পানির চিংড়ি চাষ করছেন, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাপ্তরিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত বেড়িবাঁধের অবৈধ পাইপ অপসারণ করা হবে।
খুলনার দাকোপের লাউডোব ইউনিয়নে আওয়ামী সেচ্ছা সেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা
খুলনার দাকোপের লাউডোব ইউনিয়নে আওয়ামী সেচ্ছা সেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। লাউডোব ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন  ১০ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল ৪ টায় লাউডোবের খুটাখালী বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। সেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তুতি কমিটির আহবাহক জয়ন্ত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য, আইন বিচার বিভাগীয় সংসদীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য এ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি। সম্মেলনে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগকে আরও গতিশীল করতে হবে। তিনি আরও বলেন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ আওয়ামীলীগের সব সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সেচ্ছাসেবক বাহিনী শৃঙ্খলা রক্ষা ও সাংগঠনিক সেবায় ধারাবাহিক ভাবে ভুমিকা রাখে এক কথায় সেচ্ছাসেবকলীগ আওয়ামীলীগের ভ্যানগার্ট হিসাবে কাজ করে। ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অনুষ্ঠানে মান্যবর অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও দাকোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, জেলা সাধারন সম্পাদক এস এম আজিজুর রহমান রাসেল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য সরোজিত কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান শেখ যুবরাজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মানস কুমার রায়, সেচ্ছাসেবক লীগনেতা এফ এম হাবিবুর রহমান, সরোয়ার হোসেন গহন, কুমারেশ মন্ডল, মিল্টন, মোঃ কামাল হোসেন, আবু সালেহ বাবু, শেখ রায়হান হোসেন মুন্না, এসএম আসাদুর জামান নুর, অসিম গাইন, অনিমেশ রায় লাউডোব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তপন রায়, বাজুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অপরাজিত মন্ডল অপু, সাধারন  সম্পাদক নিহার মন্ডল, মির্জা সাইফুল ইসলাম টুটুল, পরিমল রপ্তান, প্রমুখ। সম্লেলনের উদ্বোধন করেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জি এম রেজা। সম্লেলনে অতিথি বৃন্দ আংশিক কমিটি ঘোষনা দেন এতে সভাপতি জয়ন্ত কুমার রায়, সহ-সভাপতি গৌতম মন্ডল, সাধারন সম্পাদক বিপ্লব মন্ডল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দেবাশীষ কয়াল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সপ্না বাইন।
ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা শুধু নামেই।
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা
খুলনা রেলস্টেশনের সামনে ভিক্ষা করছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক বৃদ্ধ। ২০১৬ সালে ভিক্ষা ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়ার জন্য তাকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন রেলকলোনি বস্তিতে। তবে জেলা প্রশাসন থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি দাবি করে বলেন, ভিক্ষা না করলে পেট চলবে কীভাবে? খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেটে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভিক্ষা করছিলেন সালেহা বেগম নামের আরেক ভিক্ষুক। প্যারালাইজড একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকেন নতুন রাস্তা মোড়ের বস্তিতে। তিনি বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর বেশ কয়েক বছর ধরে ভিক্ষা করেন তিনি। নিজেও অনেক অসুস্থ্য, কাজ করতে পারেন না। বাধ্য হয়েই ভিক্ষা করেন। জেলা প্রশাসন থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি বলে দাবি তারও। শুধু এই ২ জনই নয়, খুলনা মহানগরীর রেল স্টেশন, লঞ্চ ঘাট, বাস টার্মিনাল, বিভিন্ন মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ভিক্ষা করছেন অসংখ্য ভিক্ষুক। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাদেরকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল তাদের প্রায় সবাই আবার ফিরে গেছে আগের পেশায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নতুন ভিক্ষুক। ২০১৭ সালের ৮মে ‘ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা’ ঘোষণা করা হলেও তা এখন শুধু নামেই সীমাবদ্ধ। তেমন কোনো কাজেই আসেনি মহতী সেই উদ্যোগ। খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে ২০১৬ সালের আগস্টে জেলা প্রশাসনের কাজ শুরু হয়। তখন ৩ হাজার ৫৯৫ জন ভিক্ষুকের নাম নিবন্ধন করা হয়। এরপর তিনটি ধাপে তাদেরকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার পুনর্বাসন সামগ্রি দেয়া হয়।
ভিক্ষুকদেরকে পুনর্বাসনের জন্য ভ্যান-রিকশা, সেলাই মেশিন, হাঁস-মুরগি, মুদি দোকান, পুরাতন কাপড় বিক্রি, কাঁচামালের ব্যবসা, পিঠা তৈরি, ওজন মাপা মেশিন, ঝাল-মুড়ি ও চানাচুর বিক্রি, ডিম বিক্রি, আগরবাতি তৈরির মালামাল, টক দই বিক্রি, ঠোঙ্গা বিক্রি, হাড়ি-পাতিল বিক্রি, শাক-সবজি বিক্রির ভ্যান গাড়ি, চা এর দোকানের উপকরণসহ ১৪ প্রকার উপকরণ সামগ্রি দেয়া হয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালের ৮ মে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু বেশিরভাগ ভিক্ষুক ফিরে গেছে তাদের আগের পেশায়। তাদের কারও দাবি, পুনর্বাসন সামগ্রি ছিল অপর্যাপ্ত। অভাবের তাড়নায় পুনর্বাসন সামগ্রি বিক্রি করে দেন অনেকে। আবার কেউ বলছেন, তখন তালিকায় নাম না ওঠায় পুনর্বাসন সামগ্রি পাননি। নগরীর ফেরিঘাট মোড়ে ভিক্ষা করার সময় বৃদ্ধ ইসলাম মিয়া বলেন, তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাঁধপাড়া এলাকায়। এখন থাকেন খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে। খুলনার স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়ায় তিনি তখন জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পাননি। সরেজমিনে গত বেশ কয়েকদিন খুলনা রেলওয়ে স্টেশন, লঞ্চ ঘাট, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, রূপসা ঘাট, জেলখানা ফেরিঘাট, চেম্বার ভবনের পাশে, পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অসংখ্য ভিক্ষুক দেখা গেছে। খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, ক্লে রোড, মীনা বাজারের মোড়ে মিষ্টি মহলের সামনে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেট, ময়লাপোতা মোড়ের সন্ধ্যা বাজার, নিউমার্কেটের ৪টি গেটেও দেখা গেছে অনেক ভিক্ষুক। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর প্রতিটি মসজিদ ও কবরস্থানের গেটেই অসংখ্য ভিক্ষুককে দেখা যায়। রবিবার সারাদিন নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকার ৮/১০টি রেস্টুরেন্টে দিনভর ক্রেতা সমাগম থাকে ব্যাপক। এসব রেস্টুরেন্টের সামনে কেউ একজন ভিক্ষুককে টাকা দিলে মুহুর্তের মধ্যে ৮/১০ জন ভিক্ষুক তাকে ঘিরে ধরে হাত পাতে। এসব ভিক্ষুকদের অধিকাংশই বৃদ্ধ, শারীরিকভাবে অসুস্থ্যসহ অর্থাভাবে জর্জরিত। এছাড়া জেলার নয়টি উপজেলায় ভিক্ষুকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করছেন। এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজ এর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, ঠিকমতো তদারকির অভাবে জেলা প্রশাসনের মহৎ এই উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা সবাই তাদের আগের পেশায় ফিরে গেছে। ভিক্ষুকদের যে পুনর্বাসন সামগ্রি দেওয়া হয়েছিল তা পর্যাপ্ত ছিল না। তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে কাজ হারিয়ে অনেকে আর্থিক সংকটে পড়েছে। তাদেরও কেউ কেউ নতুন করে ভিক্ষাবৃত্তি করতে বাধ্য হচ্ছে। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদিকুর রহমান ‘ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা’ আর আগের মতো নেই বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক ভিক্ষুক অভ্যাসগতভাবে আবার আগের পেশায় ফিরে গেছে। তাদেরকে যে পুনর্বাসন সামগ্রি দেওয়া হয়েছিল তাতে তাদের আর ভিক্ষা করা লাগতো না। এছাড়া বিভাগীয় এই নগরীতে নতুন করে কিছু সংখ্যক ভিক্ষুক যুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে জেলা প্রশাসনের কাছে এখন কিছু ফান্ড আছে। কিন্তু কীভাবে কী করলে তা ভিক্ষুকদের উপকারে আসবে সে বিষয়ে তারা চিন্তাভাবনা করছেন। এছাড়া উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। এ ব্যাপারে শিগগিরই আবারও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।