রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুরঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল বিকেলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তাজুল ইসলাম ডালিমের নেতৃত্বে বাদশা টাউন হল কমপ্লেক্স থেকে এক বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়।
উক্ত র্যালীটি পরে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালী শেষে বাদশা টাউন কমপ্লেক্সে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তাজুল ইসলাম ডালিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম স্বপ্না, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সফিকুল ইসলাম জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইবনে সাঈদ সুজন, আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মাহমুদুল হক (টিপু ) উপজেলা যুবদল আহবায়ক, মোঃ তৌহিদুর রহমান (তৌহিদ) কৃষক দলের সভাপতি , মো: রাসেল প্রামানিক ছাত্রদল সদস্য সচিবসহ সকল ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিতি ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সারাদেশে বিএনপি যখন গণতান্ত্রিক পন্থায় শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গৌরব ঐতিহ্য সংগ্রামের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে সারাদেশে বিএনপি’র মিছিল মিটিং আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল বন্ধ করতে এই বর্তমান সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনাদেরকে এবং পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে আমাদের অধিকার আদায় বন্ধ করতে চায়। মাঠে যেন কেউ মিছিল মিটিং করতে না পারে সেজন্য সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে।
বক্তারা আরো বলেন বিএনপির একটি নেতা বেঁচে থাকাকালীন এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে দিবে না। আজ তারা ক্ষমতায় গিয়ে ভোট চুরি করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে থাকতে চায় তারা গণতন্ত্র বোঝে না, গণতন্ত্র কি..? পৃথিবীর কেউ সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এ সরকারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেনা। নির্যাতন নিপীড়ন হত্যা গুম আর রাষ্ট্রের টাকা লুটপাট শুরু করেছে। একদিন তাদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের দুর্নীতি কথা বলেন বক্তারা।