Dhaka ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কপোতাক্ষ নদ খননে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন নদীপাড়ের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দারা। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৬৭৬ Time View
কপোতাক্ষ নদ খননে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন নদীপাড়ের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দারা। 
আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ প্রতিনিধি  –
কপোতাক্ষ নদের দ্বিতীয় ধাপের খনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নদীপাড়ের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দারা। তারা বলছেন নদী খনন করার নামে আমাদের উচুজমি কেটে ক্ষতি সাধন করছে খননকারিরা। যে কারণে আমরা (নদীপাড়ের মানুষ) আতঙ্কে আছি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে নদীপাড়ের বাসিন্দারা সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন।
মানুষের নদ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড এবং অসচেতনতা, স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা নদের তীরবর্তী জায়গা দখল, পলি জমে ভরাট ইত্যাদি কারণে বর্তমানে মৃতপ্রায় ঐতিহ্যবাহী নদটি খননের মধ্যে দিয়ে কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই খনন কাজ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত জায়গা না খনন করে, তাদের নিজেরদের খেয়াল খুশিমতো ঝাঁপা গ্রামের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ব্যক্তি মালিকানা উচুজমির মাটি কেটে ক্ষতি সাধন করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঝাঁপা গ্রামের নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
ঝাঁপা গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে কপোতাক্ষ নদীপাড়ের বাসিন্দা মোঃ সুরত আলী জানান- পানি উন্নয়ন বোর্ড খননকৃত নদীর প্রস্থ ৩০ থেকে ৩৫ মিটার নির্ধারন করে দিলেও, নদীর একপাশের প্রভাবশালিদের মাছের ঘের টিকিয়ে রেখে অন্য বাসিন্দাদের উচুজমি এসকেভেটর মেশিন দিয়ে কেটে ক্ষতিসাধন করছে খননকারিরা। ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ সুরত আলী সহ আরও কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা জানান- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসকেভেটর মেশিন দিয়ে দায়সারা ভাবে নদী খনন করছে এবং আমাদের উঁচু জমির উপর দিয়ে নদীর বাঁধ নির্মাণ করবে।
তারা আরও জানান- আমরা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ১০টি দফতর বরাবর আবেদন জানিয়েছি।
আমাদের দাবি- কপোতাক্ষ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ক্ষতি না করা, নির্দিষ্ট সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী খনন করার এবং সকল অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখার। এ বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেছেন যশোর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান পিয়াল। এসময় তিনি নিজে ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন- অভিযোগকারী বাসিন্দাদের জমি সরকারি আমিন দিয়ে সিএস ম্যাপ দ্বারা পরিমাপ করা হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পদন্নতিতে পুনরায় বৈষম্যের শিকার জনতা ব্যাংক অধিকাংশ কর্মকর্তা

কপোতাক্ষ নদ খননে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন নদীপাড়ের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দারা। 

Update Time : ০৮:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
কপোতাক্ষ নদ খননে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন নদীপাড়ের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দারা। 
আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশেষ প্রতিনিধি  –
কপোতাক্ষ নদের দ্বিতীয় ধাপের খনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নদীপাড়ের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দারা। তারা বলছেন নদী খনন করার নামে আমাদের উচুজমি কেটে ক্ষতি সাধন করছে খননকারিরা। যে কারণে আমরা (নদীপাড়ের মানুষ) আতঙ্কে আছি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে নদীপাড়ের বাসিন্দারা সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন।
মানুষের নদ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড এবং অসচেতনতা, স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা নদের তীরবর্তী জায়গা দখল, পলি জমে ভরাট ইত্যাদি কারণে বর্তমানে মৃতপ্রায় ঐতিহ্যবাহী নদটি খননের মধ্যে দিয়ে কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই খনন কাজ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত জায়গা না খনন করে, তাদের নিজেরদের খেয়াল খুশিমতো ঝাঁপা গ্রামের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ব্যক্তি মালিকানা উচুজমির মাটি কেটে ক্ষতি সাধন করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঝাঁপা গ্রামের নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
ঝাঁপা গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে কপোতাক্ষ নদীপাড়ের বাসিন্দা মোঃ সুরত আলী জানান- পানি উন্নয়ন বোর্ড খননকৃত নদীর প্রস্থ ৩০ থেকে ৩৫ মিটার নির্ধারন করে দিলেও, নদীর একপাশের প্রভাবশালিদের মাছের ঘের টিকিয়ে রেখে অন্য বাসিন্দাদের উচুজমি এসকেভেটর মেশিন দিয়ে কেটে ক্ষতিসাধন করছে খননকারিরা। ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ সুরত আলী সহ আরও কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা জানান- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসকেভেটর মেশিন দিয়ে দায়সারা ভাবে নদী খনন করছে এবং আমাদের উঁচু জমির উপর দিয়ে নদীর বাঁধ নির্মাণ করবে।
তারা আরও জানান- আমরা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ১০টি দফতর বরাবর আবেদন জানিয়েছি।
আমাদের দাবি- কপোতাক্ষ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ক্ষতি না করা, নির্দিষ্ট সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী খনন করার এবং সকল অনিয়ম দুর্নীতি খতিয়ে দেখার। এ বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করেছেন যশোর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান পিয়াল। এসময় তিনি নিজে ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন- অভিযোগকারী বাসিন্দাদের জমি সরকারি আমিন দিয়ে সিএস ম্যাপ দ্বারা পরিমাপ করা হবে।