কক্সবাজার রামু থানাধীন ঈদগড়ে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান লাভ; আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধারসহ র‌্যাব-১৫ কর্তৃক  ১ জন গ্রেফতার।


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩, ১২:৪১ অপরাহ্ন / ৩৫
কক্সবাজার রামু থানাধীন ঈদগড়ে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান লাভ; আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধারসহ র‌্যাব-১৫ কর্তৃক  ১ জন গ্রেফতার।
এম এস হান্নান ব্যুরোচীফ
সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার জেলায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি র‍্যাব ১৫ এর দৃষ্টিগোচর হয়।
এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীর দ্বারা ডাকাতি, অপহরণ, মাদক পাচার, ছিনতাই ও ধর্ষণের মত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিতই। ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। র‌্যাব-১৫ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের কারা এসব অস্ত্রের যোগান দিয়ে থাকে, তা নিরূপণ ও অস্ত্রধারীদের তৎপরতা নির্মুলের লক্ষ্যে অনুসন্ধান ও অভিযান বৃদ্ধি করে র‍্যাব ১৫।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০২.১০ ঘটিকার সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন ঈদগড় ইউনিয়নের তেলখোলাস্থ পানিস্য এলাকার কালুর বাড়ীর পিছনে দুর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাব সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনার সময় উক্ত স্থানে অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো একটি স্থানে অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পায়।  র‌্যাবের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে চক্রের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে।  এ সময় পলায়নকালে ধাওয়া করে অস্ত্র তৈরীর কারিগর আনোয়ার’কে র‌্যাবের আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামী এবং বর্ণিত এলাকার অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো স্থানের ভিতর হতে সর্বমোট ০১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ০১টি দেশীয় তৈরী একনলা শিসা বন্দুক, ১০ রাউন্ড এমজি’র গুলি, ৫০ রাউন্ড এসএমজি’র গুলি, ০৮ রাউন্ড গুলির খালি কার্তুজ, ১৫টি শিসা, ০১টি ছেনি, ০১টি হাতুড়ি, ০১টি বাইশ, ০২টি রেত, ০১টি প্লাস, ০৫টি সুপার গ্লু গাম, ৫০ গ্রাম বারুদ এবং ১৫০টি বিয়ারিং বল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিস্তারিত পরিচয় আনোয়ার হোসেন (৩৫), পিতা-মুছা আলী, মাতা-বেগম শাইর, সাং-খুরুলিয়া, ইউনিয়ন-ঈদগড়, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আনোয়ার, তার চক্রের অন্যান্য তিনজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আনোয়ার আরো জানান যে, তিনি ও পলাতক আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরী এবং তা বিভিন্ন অপরাধী চক্রের নিকট সরবরাহের সাথে জড়িত রয়েছেন।  তারা তেলখোলাস্থ পানিস্য এলাকার কালুর বাড়ীর পিছনে পাহাড়ের পাদদেশে অস্থায়ী তাঁবু টাঙ্গানো স্থানে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ  তৈরী  করে থাকেন। ধৃত আসামি আনোয়ার আরো জানান যে,তারা তাদের তৈরীকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ কক্সবাজার শহর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারীদের নিকট বিক্রয় ও সরবারাহ করে আসছিলেন। ধৃত অস্ত্র তৈরীর কারিগর আনোয়ার এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।