কক্সবাজারে জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন।
ওমর ফারুক উখিয়া, কক্সবাজার –
চট্টগ্রামের দক্ষিণ পর্যটন নাগরিক কক্সবাজার সদর কলাতলী ওয়ার্ড বিচ রিসোর্টে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে “নিবন্ধন ২০৪”ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার ২৪ তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎযাপন করা হয়। এতে,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জালাল উদ্দীন জুয়েল এর সঞ্চালনায়, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, পিপিএম বার, পুলিশ সুপার, কক্সবাজার।
আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লায়ন ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার পার্ভেস ( সাগর) যুবলীগ নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,দেশের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার২৩তম বছর পেরিয়ে ২৪তম বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে।জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকা বাংলাদেশের পাঠকের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি পত্রিকা। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ভোরের চেতনা সবসময় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে চেষ্টা করে। একই সঙ্গে সত্য তুলে ধরতে আপসহীন ভূমিকা পালন করছে আসছে।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বলেন,এ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা এবং জনগণকে বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতন করার ক্ষেত্রেও ভোরের চেতনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য সত্য কথা বলাটা অত্যন্ত জরুরি। এ সত্য বলা একটি শক্তি হিসেবে কাজ করে। ভোরের চেতনা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে বলে আমার ধারণা। জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমার শুভেচ্ছা রইল। পত্রিকাটি উত্তরোত্তর আরও সমৃদ্ধ হোক, সেই কামনা করি।
আমন্ত্রণীয় মেহমান বলেন, জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার পত্রিকার প্রতিবেদনে দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখায় সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠার পর অল্পদিনে জনপ্রিয়তা অর্জন এবং দুই যুগ পেরিয়েও সেই জনপ্রিয়তার মূল কারণ সংবাদ পরিবেশনে পত্রিকাটির আপসহীন অবস্থান ধরে রাখায় আমি সকলের সুদীর্ঘ আয়ু কামনা করি সাথে প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশককে অভিনন্দন জানায়, এবং সকল প্রতিনিধিকে অভিনন্দন জানান। এতে সভাপতির বক্তব্যে অত্র ভোরের চেতনা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে দৈনিক ভোরের চেতনা একটি বিশেষ সম্মানজনক স্থান করে নিয়েছে। পত্রিকাটির নিউজ ট্রিটমেন্ট, এর বিভিন্ন পাতার বৈশিষ্ট্য এবং এর সার্বিক পরিবেশনা ভঙ্গিমা একে অন্য শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলো থেকে পৃথক ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে। ভোরের চেতনার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পাতা হল এর সম্পাদকীয় পাতা।
তিনি আরো বলেন,অনেকেই জন্মদিন পালন করতে গিয়ে আগত বছরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ উৎসব করলেও বিগত বছরটি কিন্তু এক বছর আয়ু কমিয়েই যায়। তবে মানুষের জন্মদিনে এক বছর আয়ু বিয়োগের কারণে কিছুটা কষ্ট থাকলেও পত্রিকার বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বেলায় নতুন বছরে পদার্পণে বিয়োগ বেদনা হয় না বরং বছরযোগে আয়ু বৃদ্ধি ঘটে, অভিজ্ঞতা বাড়ে।ভোরের চেতনার সততা, স্বচ্ছতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং দেশীয় সংস্কৃতি বুকে ধারণ করে আপন সংস্কৃতির ধারায় পাঠকদের মন জয় করবে, সমাজের নানা অসঙ্গতি প্রকাশ করে মানুষকে সচেতন করে তুলবে, পাশাপাশি দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সবসময়ের কথা তুলে ধরবে- এটাই প্রত্যাশা। একটি প্রগতিশীল কাগজের অবশ্যই দীর্ঘায়ু কামনা করা উচিত। পাঠকের কাছে এই পত্রিকার যে ভূমিকা আছে, সেটা অটুট থাকুক। বিশেষ করে আমার এই কাগজের সাহিত্য বিষয়টা খুব পছন্দের। সাহিত্যবিষয়ক যে বিশেষ সংখ্যাগুলো বের হয়, সেগুলোও খুবই পছন্দের। এগুলোর জন্য আমি প্রতীক্ষা করি। এতে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার বেতার এর সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, এবং সারাদেশে থেকে আগত প্রতিনিধি বৃন্দ।
এতে অনুষ্টানের প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে কেক খাটেন জেলা প্রশাসক সহ আমন্ত্রণীয় ব্যক্তিবর্গরা,এবং সকলে মিষ্টি মুখ করে, প্রতিনিধির সম্মেলন শেষে বিশেষ সংবাদদাতাদের ক্রেস্ট হাতে তুলে দিয়ে ২য় অধিবেশন শেষ করেন। প্রতিনিধিদের আনন্দ উৎযাপন এর লক্ষে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় শিল্পী মেরীর গানের মাধ্যমে আনন্দ উৎযাপন করে অনুষ্ঠান সমাপ্তি করা হয়।