উন্নয়নে  বদলে গেছে  প্রাচীন  দ্বীপ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ শহর।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৬, ২০২৩, ৬:২০ অপরাহ্ন / ৫০৩
উন্নয়নে  বদলে গেছে  প্রাচীন  দ্বীপ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ শহর।
উন্নয়নে  বদলে গেছে  প্রাচীন  দ্বীপ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ শহর।
কাউছার মাহমুদ দিদার সন্দ্বীপ –
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার গ্রাম হবে শহর অদম্য  অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে  যাচ্ছে বাংলাদেশ এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ একটি প্রাচীন  দ্বীপ, রয়েছে ৩ হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য।  চারদিক  সাগর বেষ্টিত দ্বীপটি ছিল   যুগের পর যুগ  এক  অন্ধকার  ও বিভিষিকাময় জনপদ।   মাত্র ক`বছর আগে ও ছিল সে প্রচীন কালের মত অন্ধকার যুগ, সন্ধ্যা হলে ঘনিয়ে আসত অন্ধকার, কফিবাতির কেরোসিনের যুগ কে পিছনে ফেলে  সে অন্ধকার থেকে ২০১৮ সালে  সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সাগরের তলদেশ দিয়ে  বিদ্যুৎ আসার পরে সন্দ্বীপের গ্রাম ও এখন শহর। প্রতিটি  প্রত্যান্ত এলাকা ও গ্রাম জুড়ে নির্মিত হচ্ছে  শহরের  উন্নত ভবনের আদলে বাড়ি। জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখায় কাঁদামাটি  মাড়ানো ও যাতায়াতের বিড়ম্বনা হতে মুক্তি মিলেছে এখানকার জনজীবনের।  দর্শনীয় স্হান জুড়ে গড়ে উঠতে শুরু করেছে বিনোদন পার্ক। উন্নত  হচ্ছে বিভিন্ন শিল্পের  দামি  মানসম্মত টেকসই, ডিজাইনে আসবাবপত্র  নির্মাণ সামগ্রী প্রস্তুতে। ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ পাওয়ায় ছোট ছোট শিল্প ও মেশিনারিজ পদ্ধতিতে  বহুরুপি ব্যবসার  কাজ চালিয়ে  যাচ্ছেন। এতে শহরের মতো এ দ্বীপের গ্রামকেন্দ্রিক    যতেষ্ট উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।অনেকের ভাষ্যমতে গত ১ যুগে সন্দ্বীপ  এখন ৫০ বছরের উন্নয়নে এগিয়েছে বহুদুর। দ্বীপের ৪ লাখ মানুষ কে বিদ্যুৎ এর আলোয় আলোকিত করা হয়েছে ৯০ দশকে ও তেমন ছিল না চলাচল উপযোগী  কোন রাস্তাঘাট, বর্তমানে দ্বীপের ৭৫ শতাংশ রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে।
সন্দ্বীপ  উপজেলায় বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। অবিশ্বাস্য উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে  ৯০ বর্গমাইলের এ  উপজেলা। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এ উপজেলায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে। উপজেলা এলজিইডি বিভাগের একের পর এক  রাস্তা ঘাট, স্কুল, কলেজ, ব্রিজ, কালভার্ট, সহ নানাধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন  করা হচ্ছে। সরকারের একের পর এক প্রকল্পে  বিদ্যুতায়নসহ  নানামুখি উন্নয়নমূলক কাজের বদৌলতে বদলে যেতে থাকে এ উপজেলার চেহারা। তবে এ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অব্যাহত থাকলে ও এসব কিছুর  গতি বৃদ্ধি পেয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য  মাহফুজুর রহমান মিতার  কল্যাণে। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার  পর থেকে  উন্নয়নে বদলে যেতে থাকে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপ। সন্দ্বীপের উন্নয়নের  জন্য  সন্দ্বীপ টু ঢাকায়  গিয়ে দপ্তরে দপ্তরে  ফেরি করে চষে বেরিয়ে  উন্নত আধুনিক সন্দ্বীপ গড়ার  স্বপ্ন দেখেন। এ দ্বীপের মানুষকে সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখাতে চান তিনি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় গত ৯ বছরে মধ্যে বড় বড় কয়েকটি প্রকল্পে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন চোখে পড়ে সন্দ্বীপে এর মধ্যে সন্দ্বীপের চারপাশে ব্লক বেড়িবাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা,  সাবমেরিন ক্যবলের মাধ্যমে সাগরের তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৪৭ কোটি টাকা,  দেলোয়ার খাঁ সড়ক ৮২ কোটি টাকা, দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান জেটিতে ৪৭ কোটি টাকা উল্লেখ যোগ্য  সহ ৫০০ কোটি টাকা টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আরো রয়েছে ফায়ার সার্ভিস ষ্টোশন স্হাপন, কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্হাপন, মডেল মসজিদ নির্মান, নৌ যাতায়াতের জন্য নতুন জাহাজ, নতুন ইউপি ভবন নির্মান সহ উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি  অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে ১৪.৩৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানে ২৫ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা, ১১.৯৭ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতে ১২ কোটি নয় লক্ষ টাকা, একটি বাজার উন্নয়নে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা, ২ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মানে ১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকার কাজ সম্পাদন করা হয়।
চলতি অর্থ বছরে ৯ টি স্কুল ভবন কাজ ৩৯  কোটি ৯৫ হাজার টাকা চলমান রয়েছে, ১২ রাস্তা কাজ চলমান রয়েছে, দীর্ঘ দুই যুগের পৌরবাসীর দুর্ভোগ নিরাসনে হরিশপুর রহমতপুর সংযোগ সেতু  ও ভ্রামন ২ সেতু ১১ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসার প্রকৌশলী রেজাউন নবী সন্দ্বীপ যোগদানের পর থেকে অনেক টা বদলে যেতে থাকে সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকার চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড, তিনি  সার্বক্ষনিক অফিসে থাকেন এবং মাঠ পর্যায়ের কাজ নিজে পরিদর্শন করেন। এছাড়া ও সন্দ্বীপে ফেরি চলাচল নিয়ে  রয়েছে যতেষ্ট  উদ্বেগ। গৃহ নির্মাণ করে  আশ্রয়হীন,  বাস্তুহারাদের দিয়েছে আশ্রয়।