ইউপি সদস্য মোঃ রুবেল বিরুদ্ধে ‘র নানা অপকর্ম ও মারপিটের অভিযোগ আতঙ্ক এলাকাবাসী 


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩, ১২:৫৫ অপরাহ্ন / ৮৪
ইউপি সদস্য মোঃ রুবেল বিরুদ্ধে ‘র নানা অপকর্ম ও মারপিটের অভিযোগ আতঙ্ক এলাকাবাসী 
আশিক, মিরপুর (কুষ্টিয়া)প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ৬ নং আমলা ইউনিয়ন পরিষদের দুই নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মোঃ রুবেল মেম্বার নামেই যিনি অতি পরিচিত। পিতা মৃত সুরুজ। তার জন্ম সদরপুর ইউনিয়নের নওদাআজমপুর গ্রামে হলেও পরবর্তী সময়ে আমলায় এসে বিভিন্ন অপকর্মের সদস্য ও মাদক কারবারি, সন্ত্রাস দলের সদস্যের সঙ্গে তার ওঠা-বসা শুরু হয়। তখন থেকেই তিনি বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। চুরি থেকে শুরু করে মাদক সেবন, বিক্রি, বোমাবাজ, ধর্ষণ, খুনসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে থাকেন তিনি। মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামলা বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা। তৎকালীন সময়ের বিএনপি’র ও জামাত ইসলামী কিছু নেতার ছত্র ছায়ায় এসব অপকর্ম করেন তিনি। যার ফলে তার নামে মানুষের মধ্যে এক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ভয় ও পান তার বিরুদ্ধে কথা বলতে। তাই অপকর্ম করেও পার পেয়ে যেতেন তিনি। এসব অপকর্মের মধ্য দিয়ে আমলা বাজারে সে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর আমলা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এখানে বড় ধরনের একটি প্রশ্ন থেকে যায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক চলমান মামলা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সে স্থানীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি পান, মিরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে। তবে কি উপজেলা নির্বাচন অফিস অন্ধ ছিলেন নাকি অন্যভাবে তাদেরকে অন্ধ করা হয়েছিল। সিবি আর এর তথ্য মতে যখন তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  অংশগ্রহণ করেন তখন তার নামে চলমান একাধিক  মামলা। অথচ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের চোখে রীতিমতো ধুলো দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। কোন শক্তি বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি এ  প্রশ্নটাও জনমনে। এখানেই শেষ হয়নি তার অপকর্মের সব কার্যকলাপ বরং এখান থেকেই শক্তভাবে শুরু হলো। নির্বাচনে তিনি একই কৌশলে সবার চোখে ধুলো দিয়ে দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হয়ে যান। তাতে তার অবস্থান আরো শক্ত হয়। সদস্য হবার পরপরই পরিষদে এসে তার জন্য পার্সোনালি একটি আলাদা রুম দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি শুধু হুঁশিয়ারি নয় রীতিমতো একটি রুমও নিয়ে নেন পার্সোনালি। তালা লাগিয়ে রাখেন তিনি, যার চাবি তিনি ব্যক্তিগতভাবে কাছে রেখে দেন। এরপর থেকে পরিষদে আসা বিভিন্ন ধরনের সরকারি অনুদান রীতিমতো বিক্রি করা শুরু করেন। যার কয়েকটি বাস্তব প্রমাণও রয়েছে। এবং অন্তরালে চলে অবাধে মাদক ব্যবসা, আর সেবন তো তিনি রীতিমেনে করেন। যার ফলে স্কুল-কলেজের কিশোররা সহজেই জড়িয়ে পড়েন মাদকে। এ নিয়ে স্থানীয় ক্যাম্পের এসআই এবং এএসআই এর সঙ্গে বেশ কয়েকবার তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এবং তার বিরুদ্ধে পাবনা জেলায় ২৭০০ পিস ইয়াবার একটি মামলা ও রয়েছে।  সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া রাতের আধারে নিজ হাতে মটর চুরি। তার কাছ থেকে চোরা মোবাইল উদ্ধার সহ রাতের আঁধারে সদরপুর ইউনিয়নে নওদা আজমপুর গ্রামে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের সময় স্থানীয় আশা মেম্বার সহ এলাকাবাসী তাকে আটক করে সর্তক করেন। বলে জানান আশা মেম্বার। সেই রাগে বৃহস্পতিবার সকালে নওদা আজমপুরের শফিকুল কে নিজ হাতে পেটান তিনি। পরে নওদা আজমপুর গ্রামের মেম্বারসহ স্থানীয় জনগণ রুবেল মেম্বারের বাড়িতে আসে। তাকে না পেয়ে আশা মেম্বার ওসির সঙ্গে কথা বলেন। ওসি তাদেরকে জানান আপনারা লিখিত অভিযোগ দেন সেই সূত্র ধরে ভুক্তভুগির ভগ্নিপতি ছলেমান বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রুবেল মেম্বারকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম। পরে আমলা পুলিশ ক্যাম্প তাকে আটক করে থানায় সোপন করেন। জনমতে এখন প্রশ্ন একটাই পূর্বের ঘটনার মতো কি আবারো আইনের চোখে ধুলো দিয়ে তার চলমান রাজত্ব কায়েম করবে কি। নাকি এবার এই রুবেল মেম্বারের অপকর্মের সমাপ্তি ঘটবে। এতকিছুর পরেও কি ইউ পি সদস্য পদ থাকাটা বাঞ্ছনীয় কিনা সেটাও বড় প্রশ্ন।