বরিশালে( এমটিএফ) নামধারী ৬ সিইওসহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা।


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ১:১৫ অপরাহ্ন / ৬০
বরিশালে( এমটিএফ) নামধারী ৬ সিইওসহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা।
জামাল কাড়াল বরিশাল।
মেটা ভার্স ফরেন একচেঞ্জ গ্রুপের (এমটিএফ) নামধারী ৬ সিইওসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. নুরুল ইসলাম কাকন।মামলার বাদী বরিশাল নগরের ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড রোডের বাসিন্দা মো. হামিদ গাজীর ছেলে মো. ইউসুফ আলী।আসামিরা হলেন—নগরের বান্দ রোড নুরজাহান মঞ্জিলের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৪৮), তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮), নগরের সিএন্ডবি রোডের বাসিন্দা সালাম সরদারের ছেলে নোমান আহম্মেদ সরদার (৩০), নগরর বিএম কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন সরদারের ছেলে মিলন হোসেন বাদশা (৪৮), তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪০) ও তার ছেলে অলিউল ইসলাম (৩০)।বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ছদ্মবেশ ধারণ করে ইলেকট্রনিক্স প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।মামলার বরাতে কাকন বলেন, আসামিরা মাফিয়াসহ জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য। তারা এমএলএমের আদলে ই-লেনদেনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেন। মামলার বাদীসহ ১০ সাক্ষীর সাথে পূর্বপরিচিত হওয়ায় তাদের বরিশাল নগরের বিভিন্ন নামীদামি হোটেলে নিয়ে ই-লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসা করে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় লাভ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন। আসামিদের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের প্রমো কোডের মাধ্যমে বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর নামে একাউন্ট খোলেন। আসামিরা নিজেদের অর্থায়নে কিছু ডলার জমা করে প্রলুদ্ধ করেন। প্রলোভনের ফাঁদে সাড়া দিলে বাদীসহ ১১ জন গত ১ মে থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকা জমা দেন। গত ১২ আগস্ট বাদীসহ ১১ জন আসামিদের কাছে গিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য নগরের সিএন্ডবি রোড ফারজানা কমিউনিটি সেন্টারে নোমান আহম্মেদের সেবা অনলাইনের অফিসে যায়। সেখানে যাওয়ার পর নামধারী ৬ আসামিরা জানিয়েছেন, সফটওয়ার আপডেটের কারণে ডলার ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে লভ্যাংশসহ উত্তোলন করা যাবে। গত ১৮ আগস্ট রাতের মধ্যে বাদীসহ ১১ জনের সকল তথ্যে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলে।
পরদিন ১৯ আগস্ট সেবা অনলাইনের অফিসে গেলে আসামিরা জানিয়েছেন, সকল টাকা উত্তোলন করে নোমান এমটিএফ’র প্রধান সিইও মাসুদের কাছে দুবাই চলে গেছেন। তিনি ফিরে এলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। গত ২০ আগস্ট নোমানকে পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি জানান, টাকা বিদেশিরা নিয়ে গেছে। পরে আসামিরা টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেছেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে নগদ টাকা নিয়ে ডলারে রূপান্তর দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

Bangladesh It Host