Dhaka ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় যমুনা ভাঙন শুরু, নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • ১৫৬ Time View

রাশেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হতে চলেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলাধীন শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গত শনিবার থেকে এ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
রোববার (০৯ জুন) সকালে উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এতে এ বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে বিলীন হতে চলেছে। বিদ্যালয়টির একাংশ ইতিমধ্যেই যমুনায় বিলীন হয়েছে। তাই এ বিদ্যালয়টির নিলাম দিতে দ্রুত প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল রোববার দুপুরে একই এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় শিমুলতাইড় গ্রামের শতাধিক পরিবার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে এ গ্রামের একমাত্র আশ্রয়ন প্রকল্প।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি খুবই খারাপ তাই এটি নিলামে বিক্রি করে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন দিয়েছি।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, স্কুলটি রক্ষার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী আমারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। এখানে বড় আকারের বাজেট প্রয়োজন। স্কুলসহ এলাকাবাসীকে বাঁচাতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি তেমন ভালো মনে হচ্ছে না, তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয়টি নিলামে দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর এ বিদ্যালয়ের পাশে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করলে সেখানে দ্রুত ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলানো হয়। এতে এ এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন কিছুটা রোধ হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঝিকরগাছায় অবৈধভাবে মাটি কেটে টাকার পাহাড় গড়ছেন মাটিখেকোর দল

বগুড়ায় যমুনা ভাঙন শুরু, নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

Update Time : ০৯:৫৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

রাশেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হতে চলেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলাধীন শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গত শনিবার থেকে এ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
রোববার (০৯ জুন) সকালে উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এতে এ বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে বিলীন হতে চলেছে। বিদ্যালয়টির একাংশ ইতিমধ্যেই যমুনায় বিলীন হয়েছে। তাই এ বিদ্যালয়টির নিলাম দিতে দ্রুত প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল রোববার দুপুরে একই এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় শিমুলতাইড় গ্রামের শতাধিক পরিবার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে এ গ্রামের একমাত্র আশ্রয়ন প্রকল্প।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি খুবই খারাপ তাই এটি নিলামে বিক্রি করে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন দিয়েছি।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, স্কুলটি রক্ষার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ অনুযায়ী আমারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। এখানে বড় আকারের বাজেট প্রয়োজন। স্কুলসহ এলাকাবাসীকে বাঁচাতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টির পরিস্থিতি তেমন ভালো মনে হচ্ছে না, তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয়টি নিলামে দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর এ বিদ্যালয়ের পাশে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করলে সেখানে দ্রুত ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলানো হয়। এতে এ এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন কিছুটা রোধ হয়েছিল।