Dhaka ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমনধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা !

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৮০ Time View

0-4480x2038-0-0#

[  ] এবছর আমনধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর
[  ] উৎপন্ন ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর

রাশেদ, বিশেষ প্রতিনিধি (বগুড়া):
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
এবছর ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির আমনধান কর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে কর্তন হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমির ধান। বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি।
এ উপজেলার আমনধান চাষ বৃষ্টিপাত এবং বাঙালি নদীর বন্যার উপর নির্ভরশীল। গত বছরগুলোতে বাঙালি নদীতে বন্যার কারণে বেশকিছু আমনধান নষ্ট হয়েছে। তবে এ বছর বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করায় বন্যার কারণে আমন মৌসুমে কোনো ক্ষতি হয়নি। গত বছরগুলোতে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বেশকিছু আমনধানে চিটা হয়েছিল। যা এ বছর কোথাও লক্ষ্য করা যায়নি। তাছাড়া ধানগাছে ফুল ফোটার সময়ে এ বছর কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতও হয়েছে। তাই এ উপজেলায় এ বছর আমনধানের ফলন ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে সোনালী ধানে ভরপুর হয়েছে। কোথাও ধানের ভারে ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পরেছে। মাঠজুরে এখন শুধুই পাকাধান। পুরো মাঠের ধানগুলো এখন কর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। কোথাও শুরু হয়েছে ধানকাটা। কৃষকরা নানা ধরনের গান গেয়ে সারিবদ্ধভাবে কাটছেন সোনালী ধান। তবে আমনধান রোপনের সময় এ উপজেলায় কৃষকরা প্রচন্ড খরা এবং অনাবৃষ্টির কবলে পরেছিলেন। তাই তারা শ্যালো মেশিনের মালিকের সাথে ধানের একটি অংশ ছেড়ে দেয়ার শর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ ধানের আবাদ করেছেন।।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ উপজেলায় আমনধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর। উৎপন্ন হয়েছিল ১২ হাজার ৪৭০ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে ২.৯ মেট্রিক টন চাল। এ বছর আমনধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে উৎপন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমির আমনধান কর্তন করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩.১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে। যা গত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের আছালত জামান জানান, তার শ্যালো মেশিনের প্রজেক্টের আওতায় সর্বমোট ১৫ বিঘা জমিতে আমনধান পেকেছে। ধানগুলো এখন কর্তনের উপযোগী হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ ধান ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ বছর আমনধান চাষে কৃষকরা বেশ ভালো লাভ পাচ্ছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী এ বছর কৃষকরা আমনধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তাছাড়া বাজারেও তারা ভালো দাম পাচ্ছেন।
আমনধান চাষে গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন বলেও নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

ঝিকরগাছার শংকরপুরে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প আওতায় মাঠ দিবসের কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

আমনধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা !

Update Time : ০৯:১০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

[  ] এবছর আমনধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর
[  ] উৎপন্ন ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর

রাশেদ, বিশেষ প্রতিনিধি (বগুড়া):
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
এবছর ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির আমনধান কর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে কর্তন হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমির ধান। বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি।
এ উপজেলার আমনধান চাষ বৃষ্টিপাত এবং বাঙালি নদীর বন্যার উপর নির্ভরশীল। গত বছরগুলোতে বাঙালি নদীতে বন্যার কারণে বেশকিছু আমনধান নষ্ট হয়েছে। তবে এ বছর বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করায় বন্যার কারণে আমন মৌসুমে কোনো ক্ষতি হয়নি। গত বছরগুলোতে প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বেশকিছু আমনধানে চিটা হয়েছিল। যা এ বছর কোথাও লক্ষ্য করা যায়নি। তাছাড়া ধানগাছে ফুল ফোটার সময়ে এ বছর কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতও হয়েছে। তাই এ উপজেলায় এ বছর আমনধানের ফলন ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে সোনালী ধানে ভরপুর হয়েছে। কোথাও ধানের ভারে ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পরেছে। মাঠজুরে এখন শুধুই পাকাধান। পুরো মাঠের ধানগুলো এখন কর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। কোথাও শুরু হয়েছে ধানকাটা। কৃষকরা নানা ধরনের গান গেয়ে সারিবদ্ধভাবে কাটছেন সোনালী ধান। তবে আমনধান রোপনের সময় এ উপজেলায় কৃষকরা প্রচন্ড খরা এবং অনাবৃষ্টির কবলে পরেছিলেন। তাই তারা শ্যালো মেশিনের মালিকের সাথে ধানের একটি অংশ ছেড়ে দেয়ার শর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ ধানের আবাদ করেছেন।।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ উপজেলায় আমনধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর। উৎপন্ন হয়েছিল ১২ হাজার ৪৭০ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে ২.৯ মেট্রিক টন চাল। এ বছর আমনধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে উৎপন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমির আমনধান কর্তন করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩.১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে। যা গত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের আছালত জামান জানান, তার শ্যালো মেশিনের প্রজেক্টের আওতায় সর্বমোট ১৫ বিঘা জমিতে আমনধান পেকেছে। ধানগুলো এখন কর্তনের উপযোগী হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ ধান ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ বছর আমনধান চাষে কৃষকরা বেশ ভালো লাভ পাচ্ছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী এ বছর কৃষকরা আমনধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তাছাড়া বাজারেও তারা ভালো দাম পাচ্ছেন।
আমনধান চাষে গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন বলেও নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।