মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
দেশজুড়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিং এ কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারি এই প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা।
মঙ্গলবার (৬ই জুন) শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পাশাপাশি বেশকিছু বিদ্যালয়ে তালাবদ্ধ দেখা যায়।
সরেজমিনে গত দুইদিনে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রয়েছে তালা ঝুলানো। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে উপজেলার ডালিয়া-চাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। এমনকি উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুলে ক্লাস বন্ধ তাই ভালো লাগছে না। এজন্য স্কুল বন্ধ করে বাড়ি চলে এসেছি। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি কেন? জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।
একই দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া সরকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খগা খড়িবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকাশকুড়ি ঘাটের পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গয়াবাড়ী লাকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটখাতা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট খাতার তিস্তাচর শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটখাতা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটখাতা মিলন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ গয়াবাড়ী শিশু বিদ্যাবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় একই দৃশ্য। দুপুর ১২ টার পূর্বেই বিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে বাড়িতে চলে গেছেন শিক্ষকগণ। উত্তোলন হয়নি জাতীয় পতাকা।
গত রবিবার (৪ঠা জুন) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশব্যাপী বিদ্যমান তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম আগামী ৫ই জুন থেকে ৮ই জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধের সাথে শিক্ষকরা সরকারি কোন নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই বন্ধ রেখেছেন বিদ্যালয়সমূহ। এমনকি অধিকাংশ বিদ্যালয়ে উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, শিক্ষক উপস্থিতিসহ দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড চলমান থাকবে। এর ব্যতিক্রম হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।