শেখ জাহাঙ্গীর আলম,
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট কালো রাত্রীতে একাত্তরে পরাজিত শক্তির নৃসংশতায় শহীদ সকলের স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
২৩ আগস্ট (বুধবার), দুপুর ২.৩০ মিনিটে
অত্র কলেজের মুক্তির সনদে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার যাত্রা শুরু করেন।
এ অনুষ্ঠানটি সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার রাহাত মোড়লের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম আশিকের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ড. সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ আলোচক ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোহসিন কবীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, সহ-সভাপতি নুর এ আলম আশিক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ খাঁন শুভ প্রমূখ ।
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের দীর্ঘ ঐতিহ্য ও গৌরব ধারণ করে সততা ও আদর্শ নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, যে সংগঠন জাতির পিতা গড়ে তুলেছিলেন মাতৃভাষা আদায়ের জন্য, যে সংগঠন স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছে, এদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেই সংগঠনের নামই ছাত্রলীগ। তিনি বলেন, যারাই অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশকে উৎতপ্ত করার চেষ্টা করবে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শ, শিক্ষা বাঙালীর হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই, বঙ্গবন্ধু চিরঞ্জীব।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে কাজ করছেন। যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষানীতি করেছেন। দেশে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছেন। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব করছেন। গত ১৪ বছরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই, অস্ত্রের মহড়া নেই, সেশন জট নেই। আর জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ছাত্রদের অস্ত্র দিয়েছিলেন। তাদের আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের (বিএনপি) আমলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পরিণত হয়েছিল। আর শেখ হাসিনা ১৯৯৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শাপলা চত্বরে ছাত্রদের হাতে বই-খাতাকলম তুলে দিয়ে বলেছিলেন ‘অস্ত্র নয় বই কাগজ-কলমই হচ্ছে ছাত্রদের প্রকৃত হাতিয়ার।
বিশেষ আলোচক বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সমগ্র বাংলাদেশে একটি স্লোগানই বেজে উঠেছিল তা হল এক মুজিব লোকান্তরে লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে। সমস্ত বাঙালি তরুণেরা গর্জে উঠেছিল মুজিব হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য। সেদিন শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যার পর দেশ আবারও সেই পাকিস্তানি গণতান্ত্রিক ধারায় চলতে শুরু করে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয়
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। ‘
পরবর্তীতে তিনি বলেন, আজকে যে মেধাভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি এবং সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন পাচ্ছি এটি কিন্তু রাতারাতি হয়নি। এজন্য ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে লড়াই করতে হয়েছে, সংগ্রাম করতে হয়েছে, রক্তঝরাতে হয়েছে। বিশেষ করে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে তিনি বই, খাতা, কলম পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন।”
আলোচ সভার সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার রাহাত মোড়ল বলেন, ১৫ আগষ্ট এমন এক বিভীষিকাময় অধ্যায় যার মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব বিলীন করার অপচেষ্টা করেছে ঘাতকেরা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা ছিলো ক্ষমতা লোভী, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর পরেই রাষ্ট্রপতির আসনে বসেন সেই খুনি
মোস্তাক। আমি আরও বলে দিতে চাই আমরা আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করতে শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকতে কারো সাথে আপস করবো না, কাউকে ছাড় দিবো না । দ্বাদশ নির্বাচনে আবারও ছাত্রলীগের সুসংগঠিত নেতৃত্বে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবো ইনশাআল্লাহ।