Dhaka ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
  • ১৭০ Time View
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের  অধীনে প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্কুল নির্মাণ কাজের  দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নাসিম রেজাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে নির্মাণ কাজের দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদারি কাজ দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন শেখ নাসিম রেজা। অথচ তিনিই ওই দরপত্র দাখিলকারি প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা টেন্ডার ডকুমেন্ট সঠিক নয় বলে মূল্যায়ন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরম্যান্ট (সিপিটিইউ) বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে পরবর্তীতে আবার টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভি নামের যৌথ ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ সম্পাদনের চিঠি দিয়েছেন।
এ নিয়ে গত ৮ জুলাই উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ওই স্কুল ভবন নির্মাণের দরপত্র  প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজাকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকায় সরকারি মডেল স্কুল নির্মাণের জন্য ২৩ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ৩১১ টাকা ব্যয় ধরে গত বছরের মে মাসে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রথম দরপত্র আহবান করা হয়। তবে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে না পেরে ওই বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে পরবর্তীতে আবারও দরপত্র  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পাঁচজন ঠিকাদার সিডিউল সংগ্রহ করলেও তাঁদের মধ্যে চারজন ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। সুত্র জানায়,
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর দরপত্র বাক্স খোলা হয়। এর পর মূল্যায়ন করে দরপত্র  কমিটির আহ্বায়ক ও রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভি পাবলিক প্রকিউরম্যান্ট (পিপিআর) ২০০৮ এর অনুচ্ছেদ ১ ও ২ অনুযায়ী দরপত্র ডকুমন্টেটি সঠিকভাবে দাখিল করা হয়নি বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পেতে সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালকের মতামত জানতে চেয়ে গত ১৭ জানুয়ারি চিঠি দেন। সেই চিঠি পেয়ে পিপিআর অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য সিপিটিইউ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ওই সিদ্ধান্ত না মেনে পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা তাঁর একক সিদ্ধান্তে টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভিকেই কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এটি জানতে পেরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা মীম ডেভেলপার লিমিটেড নামের আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে সিপিটিইউতে মামলা  করেন। মামলার শুনানি শেষে সিপিটিউ-এর বিচার বিভাগের সভাপতি রনজিৎ কুমার চক্রবর্তী ও সদস্য সাদেক গোলাম সারোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বিচার বিভাগ গত ৮ মে টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভি নামের ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অযোগ্য ঘোষণা করে মীম ডেভেলপার লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়ার রায় দেন। পাশাপাশি জামানতের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়।
কিন্তু এই রায় অমান্য করে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা আবারও তাঁর মনগড়া সিদ্ধান্তে টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভিকেই কার্যাদেশ দেওয়ার চিঠি ইস্যু করেন। গত ৪ জুলাই ওই চিঠি ইস্যু করেন তিনি। যা দরপত্র  প্রক্রিয়ায় নজিরবিহীন অনিয়ম বলে দাবি করেছেন মীম ডেভেলপার লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ফজলুর রহমান তারেক। তিনি ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ৮ জুলাই উচ্চ আদালতে আরেকটি মামলা করেন। এরপর উচ্চ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ওই স্কুল ভবন নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজাকে শোকজ করেছেন। ঠিকাদার ফজলুর রহমান তারেকের অভিযোগ, ‘যিনি প্রথমে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে দরপত্রের ডকুমেন্ট সঠিক নয় বলে মূল্যায়ন করলেন, সেই কর্মকর্তা আবার কিভাবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ দেওয়ার চিঠি দিতে পারেন? এর পেছনে মোটা অংকের অর্থের লেনদন হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে সিপিটিইউ এর বিচার বিভাগের রায়কেও না মেনে আবারও সেই অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ দেয়ার চিঠি দেয়া প্রমাণিত হয় যে, ওই প্রকৌশলী বিপুল অংকের র্অথ নিয়েছেন। তিনি রাজশাহীতে আসার পরে এভাবে আরও একাধিক ঠিকাদারের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কাজ দিয়েছেন। তাঁর চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় আমাকে কাজ দেননি তিনি। আমি এই প্রকৌশলীর বিচার দাবি করছি। এবিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা বলেন, ‘আমার ওপর যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি কারও কাছে কোনো অর্থ নেয়নি এবং কারো কাছে চেয়েছি এটাও কেউ বলতে পারবে না। আসলে কাজ না পাওয়ার কারণে গুটি কয়েক মানুষ আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।’ সিপিটিইউ-এর রায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দিলে সরকারের ৬৫ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। তাই টেন্ডার কমিটির সুপারিশক্রমে সর্বনিম্ন দরদাতাকেই কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সিপিটিইউ-এর রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়নি কাকে কাজ দিতে হবে। তাই প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতাকেই কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বাসদ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ১২:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের  অধীনে প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্কুল নির্মাণ কাজের  দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নাসিম রেজাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে নির্মাণ কাজের দরপত্র কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদারি কাজ দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন শেখ নাসিম রেজা। অথচ তিনিই ওই দরপত্র দাখিলকারি প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা টেন্ডার ডকুমেন্ট সঠিক নয় বলে মূল্যায়ন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরম্যান্ট (সিপিটিইউ) বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে পরবর্তীতে আবার টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভি নামের যৌথ ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ সম্পাদনের চিঠি দিয়েছেন।
এ নিয়ে গত ৮ জুলাই উচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ওই স্কুল ভবন নির্মাণের দরপত্র  প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজাকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকায় সরকারি মডেল স্কুল নির্মাণের জন্য ২৩ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ৩১১ টাকা ব্যয় ধরে গত বছরের মে মাসে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রথম দরপত্র আহবান করা হয়। তবে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে না পেরে ওই বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে পরবর্তীতে আবারও দরপত্র  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পাঁচজন ঠিকাদার সিডিউল সংগ্রহ করলেও তাঁদের মধ্যে চারজন ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। সুত্র জানায়,
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর দরপত্র বাক্স খোলা হয়। এর পর মূল্যায়ন করে দরপত্র  কমিটির আহ্বায়ক ও রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভি পাবলিক প্রকিউরম্যান্ট (পিপিআর) ২০০৮ এর অনুচ্ছেদ ১ ও ২ অনুযায়ী দরপত্র ডকুমন্টেটি সঠিকভাবে দাখিল করা হয়নি বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পেতে সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালকের মতামত জানতে চেয়ে গত ১৭ জানুয়ারি চিঠি দেন। সেই চিঠি পেয়ে পিপিআর অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য সিপিটিইউ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ওই সিদ্ধান্ত না মেনে পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা তাঁর একক সিদ্ধান্তে টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভিকেই কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এটি জানতে পেরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা মীম ডেভেলপার লিমিটেড নামের আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে সিপিটিইউতে মামলা  করেন। মামলার শুনানি শেষে সিপিটিউ-এর বিচার বিভাগের সভাপতি রনজিৎ কুমার চক্রবর্তী ও সদস্য সাদেক গোলাম সারোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বিচার বিভাগ গত ৮ মে টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভি নামের ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অযোগ্য ঘোষণা করে মীম ডেভেলপার লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়ার রায় দেন। পাশাপাশি জামানতের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়।
কিন্তু এই রায় অমান্য করে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা আবারও তাঁর মনগড়া সিদ্ধান্তে টিবিএল-এমই-আর অ্যান্ড জেভিকেই কার্যাদেশ দেওয়ার চিঠি ইস্যু করেন। গত ৪ জুলাই ওই চিঠি ইস্যু করেন তিনি। যা দরপত্র  প্রক্রিয়ায় নজিরবিহীন অনিয়ম বলে দাবি করেছেন মীম ডেভেলপার লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ফজলুর রহমান তারেক। তিনি ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ৮ জুলাই উচ্চ আদালতে আরেকটি মামলা করেন। এরপর উচ্চ আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ওই স্কুল ভবন নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজাকে শোকজ করেছেন। ঠিকাদার ফজলুর রহমান তারেকের অভিযোগ, ‘যিনি প্রথমে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে দরপত্রের ডকুমেন্ট সঠিক নয় বলে মূল্যায়ন করলেন, সেই কর্মকর্তা আবার কিভাবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ দেওয়ার চিঠি দিতে পারেন? এর পেছনে মোটা অংকের অর্থের লেনদন হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে সিপিটিইউ এর বিচার বিভাগের রায়কেও না মেনে আবারও সেই অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ দেয়ার চিঠি দেয়া প্রমাণিত হয় যে, ওই প্রকৌশলী বিপুল অংকের র্অথ নিয়েছেন। তিনি রাজশাহীতে আসার পরে এভাবে আরও একাধিক ঠিকাদারের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কাজ দিয়েছেন। তাঁর চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় আমাকে কাজ দেননি তিনি। আমি এই প্রকৌশলীর বিচার দাবি করছি। এবিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজা বলেন, ‘আমার ওপর যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি কারও কাছে কোনো অর্থ নেয়নি এবং কারো কাছে চেয়েছি এটাও কেউ বলতে পারবে না। আসলে কাজ না পাওয়ার কারণে গুটি কয়েক মানুষ আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।’ সিপিটিইউ-এর রায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দিলে সরকারের ৬৫ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। তাই টেন্ডার কমিটির সুপারিশক্রমে সর্বনিম্ন দরদাতাকেই কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সিপিটিইউ-এর রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়নি কাকে কাজ দিতে হবে। তাই প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতাকেই কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।