Dhaka ০২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত চাহিদার দ্বিগুন পশু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • ১২৭ Time View
মাজিদ আল মামুন, মেহেরপুর:
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আযহা। এই ঈদেই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পশু কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রস্তুত মেহেরপুরের খামারিরা। রাজধানীর পশু হাটগুলো জমে না উঠলেও ইতোমধ্যে মেহেরপুর, বামুন্দী, আলমডাঙ্গা ও কাতলামারী পশু হাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় গরুর সরবরাহ না থাকায় কোরবানির ঈদে পশুর হাট গুলোতে দেশী জাতের গরুই বেশি পাওয়া যাবে বলে জানান গরু ব্যবসায়ীরা।
 এবার ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫’শ ২০ টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারিরা। আর কোরবানির ঈদ কে কেন্দ্র করে শেষ সময়ের জন্য পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময়ও পার করছেন মেহেরপুরের খামারিরা।
খামারিরা বলছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেহেরপুর জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারি রয়েছে ২৯ হাজার ৪৫০ জন। জেলায় এবার ৯০ হাজার পশু কোরবানির চাহিদা থাকলেও তার বিপরীতে পশু রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০ টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় কোরবানির জন্য যে পরিমাণ পশু রয়েছে তাতে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
জেলার গাংনী উপজেলার পশ্চিম মালশাদহ গ্রামের খামারি হাজী আব্দুল কাদের বলেন, আমার খামারে শাহী ওয়াল দেশীয় জাতের ৯ টি গরু রয়েছে। আমরা গরুকে কোন প্রকারের রাসায়নিক খাদ্য দিচ্ছি না, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দানাদার খাবার, গমের ভূষি, কাঁচা ঘাস, বিচালি, খৈল, চিটাগুড় এসব খাবার দিয়েই গরু মোটা-তাজা করা হচ্ছে।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানি নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মেহেরপুরের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, জেলার বাজারগুলোতে রাখা হচ্ছে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। ৫ টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম বিভিন্ন হাট গুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাকে চাহিদা মতো সেবা দেবেন।
এছাড়াও কোরবানির পশু হাট গুলোতে চুরি, ছিনতাই, প্রতারনাসহ যেকোন ধরনের অপরাধরোধ, গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্নে পশু বেচা-কেনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন বলে জানান মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বাসদ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত চাহিদার দ্বিগুন পশু

Update Time : ০১:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
মাজিদ আল মামুন, মেহেরপুর:
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আযহা। এই ঈদেই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পশু কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রস্তুত মেহেরপুরের খামারিরা। রাজধানীর পশু হাটগুলো জমে না উঠলেও ইতোমধ্যে মেহেরপুর, বামুন্দী, আলমডাঙ্গা ও কাতলামারী পশু হাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় গরুর সরবরাহ না থাকায় কোরবানির ঈদে পশুর হাট গুলোতে দেশী জাতের গরুই বেশি পাওয়া যাবে বলে জানান গরু ব্যবসায়ীরা।
 এবার ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫’শ ২০ টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন স্থানীয় খামারিরা। আর কোরবানির ঈদ কে কেন্দ্র করে শেষ সময়ের জন্য পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময়ও পার করছেন মেহেরপুরের খামারিরা।
খামারিরা বলছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেহেরপুর জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারি রয়েছে ২৯ হাজার ৪৫০ জন। জেলায় এবার ৯০ হাজার পশু কোরবানির চাহিদা থাকলেও তার বিপরীতে পশু রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০ টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় কোরবানির জন্য যে পরিমাণ পশু রয়েছে তাতে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
জেলার গাংনী উপজেলার পশ্চিম মালশাদহ গ্রামের খামারি হাজী আব্দুল কাদের বলেন, আমার খামারে শাহী ওয়াল দেশীয় জাতের ৯ টি গরু রয়েছে। আমরা গরুকে কোন প্রকারের রাসায়নিক খাদ্য দিচ্ছি না, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দানাদার খাবার, গমের ভূষি, কাঁচা ঘাস, বিচালি, খৈল, চিটাগুড় এসব খাবার দিয়েই গরু মোটা-তাজা করা হচ্ছে।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানি নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মেহেরপুরের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, জেলার বাজারগুলোতে রাখা হচ্ছে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। ৫ টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম বিভিন্ন হাট গুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাকে চাহিদা মতো সেবা দেবেন।
এছাড়াও কোরবানির পশু হাট গুলোতে চুরি, ছিনতাই, প্রতারনাসহ যেকোন ধরনের অপরাধরোধ, গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং নির্বিঘ্নে পশু বেচা-কেনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছেন বলে জানান মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।