Dhaka ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ক্যামেরা ভাংচুর, ও মোবাইল ছিনতাই – দক্ষিণ খান থানায় মামলা, একজন গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০৫ Time View

সুমন খান:

রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে চোরাই মালামালের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমানসহ তিনজন সাংবাদিক। গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা চ্যানেল এস-এর অফিসিয়াল ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় দক্ষিণ খান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, চ্যানেল এস-এর প্রতিনিধি তরিক শিবলী ও দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক রফিকুল হক সিকদার জাহাঙ্গীর , সাপ্তাহিক “অন্যায়ের প্রতিবাদ” পত্রিকার সহ-সম্পাদক মোঃমিজানুর রহমান, বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সিমা আক্তার এবং সাপ্তাহিক অন্যায়ের প্রতিবাদ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজ সালাম সজীব দক্ষিণ খান থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে মেট্রোরেল চোরাচালানের তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানে নামেন।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মেট্রোরেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন – মোটর, পাইপ, কপার কেবল প্রভৃতি চুরি করে একটি বাসায় মজুদ করে বিক্রি করে আসছিল। এই বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে গলির মুখে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ওই চক্রের সদস্যরা। সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং তাঁর মাথায় দুইটি সেলাই লেগেছে।
হামলার সময় সাংবাদিকদের ব্যবহৃত একটি অফিসিয়াল ক্যামেরা ভাংচুর করে মেমোরিকার্ড গায়েব করে এবং একাধিক মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা, যার ফলে অনুসন্ধানের ভিডিও ফুটেজ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে যায়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ খান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায় এবং একজনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৪২৭/৩৭৯/৫০৬ ধারায় একটি নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
জিডির তথ্যমতে, অভিযোগকারী চ্যানেল এস সাংবাদিক বলেন, “আমরা থানার অনুমতি নিয়েই অনুসন্ধানে গিয়েছিলাম। আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যেভাবে হামলার শিকার হতে হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।”
এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ক্যামেরা ভাংচুর, ও মোবাইল ছিনতাই – দক্ষিণ খান থানায় মামলা, একজন গ্রেফতার

Update Time : ১১:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

সুমন খান:

রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে চোরাই মালামালের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমানসহ তিনজন সাংবাদিক। গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা চ্যানেল এস-এর অফিসিয়াল ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় দক্ষিণ খান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, চ্যানেল এস-এর প্রতিনিধি তরিক শিবলী ও দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক রফিকুল হক সিকদার জাহাঙ্গীর , সাপ্তাহিক “অন্যায়ের প্রতিবাদ” পত্রিকার সহ-সম্পাদক মোঃমিজানুর রহমান, বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সিমা আক্তার এবং সাপ্তাহিক অন্যায়ের প্রতিবাদ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজ সালাম সজীব দক্ষিণ খান থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে মেট্রোরেল চোরাচালানের তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানে নামেন।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মেট্রোরেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন – মোটর, পাইপ, কপার কেবল প্রভৃতি চুরি করে একটি বাসায় মজুদ করে বিক্রি করে আসছিল। এই বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে গলির মুখে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ওই চক্রের সদস্যরা। সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং তাঁর মাথায় দুইটি সেলাই লেগেছে।
হামলার সময় সাংবাদিকদের ব্যবহৃত একটি অফিসিয়াল ক্যামেরা ভাংচুর করে মেমোরিকার্ড গায়েব করে এবং একাধিক মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা, যার ফলে অনুসন্ধানের ভিডিও ফুটেজ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে যায়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ খান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায় এবং একজনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৪২৭/৩৭৯/৫০৬ ধারায় একটি নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
জিডির তথ্যমতে, অভিযোগকারী চ্যানেল এস সাংবাদিক বলেন, “আমরা থানার অনুমতি নিয়েই অনুসন্ধানে গিয়েছিলাম। আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যেভাবে হামলার শিকার হতে হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।”
এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।