মোঃ আমিনূর ইসলাম রাব্বি, ময়মনসিংহ ব্যুরো
২২ মার্চ (শনিবার) ২০২৫ খ্রী: বিকেল ৩.০০ টায় ময়মনসিংহ নগরীর শহীদ ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, ময়মনসিংহ মহানগর শাখার উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি অগ্রাহ্য করে গাজায় ইজরায়েলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ও জুলাই অভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাসদ মহানগর শাখার সমন্বয়ক অনুপম সরকারের সভাপতিত্বে, সদস্য অপূর্ব চন্দ্র দেবনাথ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর শাখার সদস্য মিঠুন আহম্মেদ, বাসদ জেলা শাখার সদস্য মঞ্জুরুল হাসান খান, ছাত্র ফ্রন্ট বাকৃবি শাখার সভাপতি নিশাত আনজুম মিথিলা, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন, ময়মনসিংহের আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান রাজিব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিজন সম্মানিত, সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ তানসেন, সাবেক ছাত্রনেতা সুশান্ত দেবনাথ খোকন, অঞ্জন সরকার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদনপুষ্ট ইসরাইল জায়নবাদীদের যুদ্ধ বিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলার প্রতিবাদ জানান এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরায়েলী জায়নবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন গোটা দুনিয়া জুড়ে কমিউনিস্টরা ফিলিস্তিনের মুক্তির সংগ্রামে সহযোগিতা ও সমর্থন যুগিয়েছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ করেছে কারণ কমিউনিস্টরা বিশ্বাস করে প্রত্যেক জাতিসত্তার স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে। প্রায় ৮০ বছর ধরে চলা এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী মোড়লদের ছত্রছায়ায় জাতিসংঘ কোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি। সারা দুনিয়াকে গণতন্ত্র, মানবিকতার ছবক দেয়া মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আসল চরিত্র ফিলিস্তিনে প্রকাশিত হয়। ইয়েমেন, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীর আগ্রাসন রুখে দেয়ার জন্য দেশের শান্তিপ্রিয় মুক্তিকামী বাঙালি, আদিবাসী জাতিস্বত্তা ও বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশ থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের জন্য নেতানিয়াহুর বিচার দাবি করেন সেই সাথে জুলাই অভ্যুত্থানে সংগঠিত গণহত্যার আসামিদের বিচারও দাবি করেন। বক্তারা বলেন জুলাই মাসে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার, প্রশাসন, পালিত গুন্ডাবাহিনী গুলি করে, হামলা করে প্রায় সহস্রাধিক ছাত্র জনতা কে হত্যা করে। সবশেষে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হলেও পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও গণহত্যার আসামিরা পার পেয়ে গেছে। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে বিদেশের মাটিতে। তাহলে গণহত্যার বিচার হবে কিভাবে! অনতিবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা না হলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন হবে না।
সেই সাথে বিদ্যমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, মব বাহিনীর দৌরাত্ম্য , মাজার ভাঙচুর, নারীর প্রতি সহিংষতা ও ধর্ষণ, ম্যুরাল পুলিসিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এবং প্রতিটি ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত করে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।