অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ জনাব আবু রাশেদ মোহাম্মদ মোজ্জাম্মেল সাহেব। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র জনাব এস এম তোফাইল বিন হোসাইন।
এই অনুষ্ঠানে অত্র দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাঁশখালীর পৌর মেয়র এস এম তোফাইল বিন হোসাইন,
মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক জনাব আনোয়ারুল আজীম, সহকারী অধ্যাপক জনাব নসরুল্লাহ আল্-মাহমুদ, বাংলা প্রভাষক জনাব মুনিরুল ইসলাম আশরাফী, ইংরেজি প্রভাষক জনাব শ্যামল কান্তি রুদ্র, সহকারী শিক্ষক জনাব আজগর হোসাইন, মাওলানা হেলালুল ইসলাম হোসাইনী
বক্তারা বলেন! আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস।
বাঙ্গালি ও বাংলাদেশের শোকের দিন আজ। ইতিহাসের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫-এর এই কালো দিনটিতেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব আবহমান বাংলা ও বাঙ্গালির আরাধ্য পুরুষ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। রক্তঝরা এই দিনটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবার-পরিজনসহ নৃশংসভাবে শহীদ হন ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসভবনে। কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবীদের চক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন প্রাণ হারান তার প্রিয় সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল এবং দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। তবে প্রবাসে থাকায় সেদিন প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। মধ্য আগস্টের সেই হত্যাকান্ডে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কমকর্তা ও কর্মচারী। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে এই শহীদদেরও।
মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক জনাব আনোয়ারুল আজীমের সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অত্র অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। পরিশেষে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা ও মুনাজাত পরিচালনা করেন অত্র মাদরাসার সুযোগ্য উপাধ্যক্ষ জনাব মাওলানা আজিজুল ইসলাম।