Dhaka ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী সিরাজগঞ্জে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • ১৯৭ Time View
মোঃ মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রেমের টানে এবার নাইসা মল্লিক (২৬) নামের এক ভারতীয় তরুণী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এসে ঘর বেঁধেছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বালসাবাড়ী গ্রামে প্রেমিক জুয়েল সরকারের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার।
ভারত থেকে প্রেমের টানে ছুটে আসা ওই তরুণীকে একনজর দেখতে ভিড় করছে শত শত উৎসুক জনতা।
স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে দেড় বছর আগে জুয়েল ও ভারতীয় তরুণী নাইসার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার (৩১ মে) উল্লাপাড়া উপজেলার বালসাবাড়ী গ্রামে আসেন নাইসা। এরপর গ্রামের ইরান সরকারের ছেলে প্রেমিক জুয়েল সরকারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিয়ে হয় তাদের।
প্রেমের টানে ছুটে আসা প্রেমিকা নাইসা মল্লিক বলেন, “আমার বাবার নাম খয়রুল আলম মল্লিক। বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার দশনগর থানার ধারসা ছোট মল্লিকপাড়ায়। প্রেমের কথা আমার পরিবারকে জানালে তারা মেনে নিতে অস্বীকার করেন। তাই পরিবার ছেড়ে ভালোবাসার মানুষের কাছে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই। তারপর পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।”
প্রেমিক জুয়েল সরকার বলেন, “দীর্ঘ দেড় বছর সম্পর্কের পর নাইসার সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়। তাই নাইসা গত বুধবার (৩১ মে) আমার কাছে চলে আসে এবং বৃহস্পতিবার (১মে) আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। নাইসাকে পেয়ে আমি খুবই খুশি।”
বিয়ের বিষয়ে আইনি পরামর্শদাতা সিরাজগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ আদালতে ভারতের মেয়ে নাইসা এবং উপজেলার বালসাবাড়ী এলাকার ইরান সরকারের ছেলে জুয়েলের বিয়ে সম্পন্ন হয়।”
এ ব্যাপারে জুয়েলের বাবা ইরান সরকার বলেন, “ভারতীয় তরুণীর সঙ্গে আমার ছেলে জুয়েলের ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর ওই মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এবং ছেলে-মেয়ে দুজনের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করি। বর্তমানে তারা সুখে-শান্তিতে সংসার করছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বাসদ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী সিরাজগঞ্জে

Update Time : ০৮:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
মোঃ মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রেমের টানে এবার নাইসা মল্লিক (২৬) নামের এক ভারতীয় তরুণী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এসে ঘর বেঁধেছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বালসাবাড়ী গ্রামে প্রেমিক জুয়েল সরকারের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার।
ভারত থেকে প্রেমের টানে ছুটে আসা ওই তরুণীকে একনজর দেখতে ভিড় করছে শত শত উৎসুক জনতা।
স্থানীয়রা জানায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে দেড় বছর আগে জুয়েল ও ভারতীয় তরুণী নাইসার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার (৩১ মে) উল্লাপাড়া উপজেলার বালসাবাড়ী গ্রামে আসেন নাইসা। এরপর গ্রামের ইরান সরকারের ছেলে প্রেমিক জুয়েল সরকারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিয়ে হয় তাদের।
প্রেমের টানে ছুটে আসা প্রেমিকা নাইসা মল্লিক বলেন, “আমার বাবার নাম খয়রুল আলম মল্লিক। বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার দশনগর থানার ধারসা ছোট মল্লিকপাড়ায়। প্রেমের কথা আমার পরিবারকে জানালে তারা মেনে নিতে অস্বীকার করেন। তাই পরিবার ছেড়ে ভালোবাসার মানুষের কাছে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই। তারপর পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।”
প্রেমিক জুয়েল সরকার বলেন, “দীর্ঘ দেড় বছর সম্পর্কের পর নাইসার সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়। তাই নাইসা গত বুধবার (৩১ মে) আমার কাছে চলে আসে এবং বৃহস্পতিবার (১মে) আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। নাইসাকে পেয়ে আমি খুবই খুশি।”
বিয়ের বিষয়ে আইনি পরামর্শদাতা সিরাজগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ আদালতে ভারতের মেয়ে নাইসা এবং উপজেলার বালসাবাড়ী এলাকার ইরান সরকারের ছেলে জুয়েলের বিয়ে সম্পন্ন হয়।”
এ ব্যাপারে জুয়েলের বাবা ইরান সরকার বলেন, “ভারতীয় তরুণীর সঙ্গে আমার ছেলে জুয়েলের ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর ওই মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এবং ছেলে-মেয়ে দুজনের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করি। বর্তমানে তারা সুখে-শান্তিতে সংসার করছে।