Dhaka ০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • ১৭০ Time View

মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ-

 

 

 

 

পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর চাপ। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করছেন বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা রোগীরা। ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯০ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত কদিনের বৃষ্টির পর জেলার ভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে সড়কের পাশে জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করছে এডিস মশার লার্ভা। তবে এ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে নেই বিশেষ কোনো উদ্যোগ।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলিখালী এলাকা থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীর স্বজন আমেনা বেগম বলেন, দুদিন জ্বরের পর এলাকায় ডাক্তার দেখিয়ে শহরের ক্লিনিকে নমুনা পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপরই হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন অবস্থা একটু ভালো। হাসপাতাল থেকে স্যালাইন এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিয়েছে। বাকিগুলো বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

সম্প্রতি জেলা শহরে পটুয়াখালী পৌরসভা মশা নিধনে স্প্রেসহ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা চালালেও জেলার অন্য উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে কোনো তৎপরতা নেই। ফলে জেলা শহরের চেয়ে উপজেলাগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি খারাপ।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, শহরের সব এলাকায় রুটিন মাফিক মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পৌরসভার একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মশার উৎপত্তি স্থলগুলো চিহ্নিত করবে এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে কাজ করবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেজন্য পৌরসভার পরিচ্ছন্ন শাখা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৯০ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৫ জন। এখন প্রতিদিন গড়ে জেলায় ২০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বাসদ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ

Update Time : ০৩:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ-

 

 

 

 

পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর চাপ। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করছেন বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা রোগীরা। ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯০ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত কদিনের বৃষ্টির পর জেলার ভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে সড়কের পাশে জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করছে এডিস মশার লার্ভা। তবে এ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে নেই বিশেষ কোনো উদ্যোগ।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলিখালী এলাকা থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীর স্বজন আমেনা বেগম বলেন, দুদিন জ্বরের পর এলাকায় ডাক্তার দেখিয়ে শহরের ক্লিনিকে নমুনা পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপরই হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন অবস্থা একটু ভালো। হাসপাতাল থেকে স্যালাইন এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিয়েছে। বাকিগুলো বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

সম্প্রতি জেলা শহরে পটুয়াখালী পৌরসভা মশা নিধনে স্প্রেসহ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা চালালেও জেলার অন্য উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে কোনো তৎপরতা নেই। ফলে জেলা শহরের চেয়ে উপজেলাগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি খারাপ।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, শহরের সব এলাকায় রুটিন মাফিক মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পৌরসভার একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মশার উৎপত্তি স্থলগুলো চিহ্নিত করবে এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে কাজ করবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেজন্য পৌরসভার পরিচ্ছন্ন শাখা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৯০ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৫ জন। এখন প্রতিদিন গড়ে জেলায় ২০ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।