Dhaka ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে সাপের দংশনে বছরে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ১১৩ Time View
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা প্রতিনিধিঃ-
বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে সাপে কামড়ায়। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ মারা যান। যাদের বেশির ভাগই গ্রামের সাধারণ ও দরিদ্র মানুষ। খুলনায় সর্পদংশন, প্রতিকার ও চিকিৎসাবিষয়ক এক প্রশিক্ষণে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দিনব্যাপী সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুন্দরবন পশ্চিমের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। প্রশিক্ষণে জানানো হয়, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় সর্প দংশনের ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলে গোখরা, কেউটে, কোবরা, রাসেল ভাইপার সাপের দংশনে বেশি মানুষ মারা যান। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, খুলনা বিভাগে বছরে ১ লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। এর মধ্যে ৬১৫ জন মানুষ মারা যান। যা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। সাপে কামড়ালে ৬১ ভাগ লোক ওঝার কাছে যান। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল। সাপে কামড়ালে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। রাতের বেলা চলাফেরা করার সময় অবশ্যই আলো (টর্চ-লাইট) ব্যবহার করতে হবে। সাপে কামড়ানো স্থান কাটা, দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা, আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করা যাবে না। মেঝেতে না ঘুমিয়ে খাটের ওপর মশারি ব্যবহার করে ঘুমাতে হবে। এছাড়া সাপের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ সময় আক্রান্ত ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করতে হবে, ভয়ের কিছু নেই। চিকিৎসা রয়েছে। সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক ছিলেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাঈদ। এসময় অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এসিএফ (নলিয়ান) এ জেড এম হাসানুর রহমান এবং এসিএফ (সদর) এম এ হাসান। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন তথ্যগত উপস্থাপনের পর সাপ ধরার কৌশল ব্যবহারিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। প্রশিক্ষণে বন কর্মকর্তা, বনকর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বাসদ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেশে সাপের দংশনে বছরে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মৃত্যু

Update Time : ০৩:৩৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা প্রতিনিধিঃ-
বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে সাপে কামড়ায়। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ মারা যান। যাদের বেশির ভাগই গ্রামের সাধারণ ও দরিদ্র মানুষ। খুলনায় সর্পদংশন, প্রতিকার ও চিকিৎসাবিষয়ক এক প্রশিক্ষণে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দিনব্যাপী সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুন্দরবন পশ্চিমের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। প্রশিক্ষণে জানানো হয়, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় সর্প দংশনের ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলে গোখরা, কেউটে, কোবরা, রাসেল ভাইপার সাপের দংশনে বেশি মানুষ মারা যান। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, খুলনা বিভাগে বছরে ১ লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। এর মধ্যে ৬১৫ জন মানুষ মারা যান। যা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। সাপে কামড়ালে ৬১ ভাগ লোক ওঝার কাছে যান। যেটা সবচেয়ে বড় ভুল। সাপে কামড়ালে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। রাতের বেলা চলাফেরা করার সময় অবশ্যই আলো (টর্চ-লাইট) ব্যবহার করতে হবে। সাপে কামড়ানো স্থান কাটা, দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধা, আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করা যাবে না। মেঝেতে না ঘুমিয়ে খাটের ওপর মশারি ব্যবহার করে ঘুমাতে হবে। এছাড়া সাপের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ সময় আক্রান্ত ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আশ্বস্ত করতে হবে, ভয়ের কিছু নেই। চিকিৎসা রয়েছে। সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক ছিলেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাঈদ। এসময় অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এসিএফ (নলিয়ান) এ জেড এম হাসানুর রহমান এবং এসিএফ (সদর) এম এ হাসান। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন তথ্যগত উপস্থাপনের পর সাপ ধরার কৌশল ব্যবহারিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। প্রশিক্ষণে বন কর্মকর্তা, বনকর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।