Dhaka ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা পরিচয় দেয়া সুজাউল ইসলাম সুজার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন দুইটি হত্যা মামলার আসামি অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৫৯ Time View

জবি প্রতিনিধি,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা পরিচয় দেয়া সুজাউল ইসলাম সুজার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন দুইটি হত্যা মামলার আসামি অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস।

বুধবার বিকাল চারটায় জবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিনের কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে শিক্ষক সমিতি বরাবর মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেন জমা দেন। রইছ উদ্দিনের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কক্ষ থেকে বের হওয়া মাত্র কলা ভবনের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মিল্টন বিশ্বাসকে আটক করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা মিল্টন বিশ্বাসের কাছে ক্যাম্পাসে কার শেল্টারে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুজাউদ্দীন সুজা ও আলামিনের যোগাযোগ করে এসেছি। আমার নামে দুইটা মামলা আছে যে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন স্যারের কাছে চিঠি দিতে এসেছিলাম।

এ সময় মিল্টন বিশ্বাসের সাথে ছিলেন জনি নামে অপর ব্যক্তি। এই সময় এই জনিকে নিয়ে ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর।

জবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ রেজার রাজনীতি করতো সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউল ইসলাম সুজা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সাথে সুজার রয়েছে দহরম-মহরম সম্পর্ক। সেই সুবাধে সাংবাদিক ও ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর বলেন, ‘জন’ এর বাড়ি আমার জেলায়। সে ক্যাম্পাসে আসার পরে আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তার সঙ্গে আগে থেকে কখনো যোগাযোগ ছিল না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, সে আমার কাছে মামলা বাতিলের জন্য আবেদন নিয়ে আসে। পরে আমি তাকে বলি এটা শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিবেন। আমার এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ বিষয়ে সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউল ইসলাম সুজা বলেন, আমি মূলত পিআরও (জনসংযোগ) দপ্তরে গিয়েছি। মিল্টন স্যার একাধিক বার রইছ স্যারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পারেনি। তাই আমাকে কল দেয়। আমি তার বাংলা বিভাগের আল আমিনের সাথে যোগাযোগ করতে বলি।

সে ক্যাম্পাসে আসবে-নাকি আসবে না, এই ধরনের কিছু আমাকে বলে নি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

আইন, ন্যায় আর সাহসের মিলিত রূপ-ওসি শফিকুল ইসলাম খান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা পরিচয় দেয়া সুজাউল ইসলাম সুজার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন দুইটি হত্যা মামলার আসামি অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস।

Update Time : ১২:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

জবি প্রতিনিধি,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদল নেতা পরিচয় দেয়া সুজাউল ইসলাম সুজার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন দুইটি হত্যা মামলার আসামি অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস।

বুধবার বিকাল চারটায় জবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিনের কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে শিক্ষক সমিতি বরাবর মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেন জমা দেন। রইছ উদ্দিনের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কক্ষ থেকে বের হওয়া মাত্র কলা ভবনের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মিল্টন বিশ্বাসকে আটক করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা মিল্টন বিশ্বাসের কাছে ক্যাম্পাসে কার শেল্টারে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুজাউদ্দীন সুজা ও আলামিনের যোগাযোগ করে এসেছি। আমার নামে দুইটা মামলা আছে যে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন স্যারের কাছে চিঠি দিতে এসেছিলাম।

এ সময় মিল্টন বিশ্বাসের সাথে ছিলেন জনি নামে অপর ব্যক্তি। এই সময় এই জনিকে নিয়ে ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর।

জবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ রেজার রাজনীতি করতো সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউল ইসলাম সুজা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সাথে সুজার রয়েছে দহরম-মহরম সম্পর্ক। সেই সুবাধে সাংবাদিক ও ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর বলেন, ‘জন’ এর বাড়ি আমার জেলায়। সে ক্যাম্পাসে আসার পরে আমার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তার সঙ্গে আগে থেকে কখনো যোগাযোগ ছিল না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, সে আমার কাছে মামলা বাতিলের জন্য আবেদন নিয়ে আসে। পরে আমি তাকে বলি এটা শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিবেন। আমার এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ বিষয়ে সাবেক সাংবাদিক নেতা সুজাউল ইসলাম সুজা বলেন, আমি মূলত পিআরও (জনসংযোগ) দপ্তরে গিয়েছি। মিল্টন স্যার একাধিক বার রইছ স্যারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পারেনি। তাই আমাকে কল দেয়। আমি তার বাংলা বিভাগের আল আমিনের সাথে যোগাযোগ করতে বলি।

সে ক্যাম্পাসে আসবে-নাকি আসবে না, এই ধরনের কিছু আমাকে বলে নি