মোঃ নাজমুল, মোরেলগঞ্জ:

সমাজসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন বাগেরহাট-৪ আসনের বিএনপির রাজপথের নিবেদিত কর্মী, জনপ্রিয় নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন। পবিত্র রমজান মাসে তিনি টানা চতুর্থ দিনের মতো এতিম ও হাফেজ শিশুদের সঙ্গে ইফতার করেছেন, যা নিছক একটি আয়োজন নয়, বরং এক নিরব মানবতার আন্দোলন।
বুধবার (৫ মার্চ) মোরেলগঞ্জ উপজেলার আমতলা বাজারে ৯নং বলইবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ ইফতার মাহফিলে শতাধিক এতিম ও মাদ্রাসার হাফেজ শিক্ষার্থীসহ কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় ভরপুর এই আয়োজন ছিল সমাজের অবহেলিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর এক অনন্য প্রয়াস।

কাজী খায়রুজ্জামান শিপন শুধু ইফতার আয়োজনই করেননি, তিনি নিজ হাতে শিশুদের খাবার পরিবেশন করেছেন, তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ঈদ উপহারও দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন—
“এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দ। রমজান আমাদের সহমর্মিতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। সমাজের সকল বিত্তবানদের উচিত এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল। আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শিকদার ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহসান ফকির, সামাদ হোসেন ফকির, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিলন, আফজাল জোমাদ্দার, সাবেক ছাত্র নেতা খ.ম. বদিউজ্জামান বদি, পঞ্চকরণ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক ফকির রাসেল আল ইসলাম, পৌর শ্রমিকদল সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সফিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এতিম শিশুদের প্রতি এই ভালোবাসার নিদর্শন একদিনের নয়। কাজী খায়রুজ্জামান শিপন আগেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, পুরো রমজান মাসজুড়ে তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে ইফতার করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত চার দিনে তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে হাজারের বেশি এতিম ও হাফেজদের সঙ্গে ইফতার করেছেন।এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই জননেতা।

অনুষ্ঠানের আয়োজক বিএনপি নেতা মো. সবুর শিকদার বলেন—
“বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। আমরা তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।”

স্থানীয় জনগণ কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের এই মানবিক উদ্যোগের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, সমাজের উন্নয়নে তার মতো নিষ্ঠাবান নেতা ও সমাজসেবক আরও বেশি প্রয়োজন। এমন উদ্যোগ অন্যদেরও উৎসাহিত করবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে, সমাজকে ভালোবাসতে।