Dhaka ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালত চত্বরের গাছ কাটার অভিযোগে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
  • ১৪৮ Time View

মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ-

 

 

 

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের পাঁচটি আকাশমনি গাছ কেটে ফেলা ও পুকুর থেকে মাছ ধরে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

 

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে আদালতে অভিযোগ দেওয়ার পর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

কলাপাড়া চৌকি আদালতে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কানুনগো নজরুল ইসলাম, অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম, তহশিলদার মো. আলাউদ্দিন ও গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘ বছর ধরে কলাপাড়া উপজেলায় সরকার নির্মিত ভবনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী জজ আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। কিছুদিন আদালত ভবনে ফাটল ধরায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া ভাড়া বাড়িতে বর্তমানে বিচারকাজ পরিচালিত হয়ে আসছে।

 

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি এসিল্যান্ডের নির্দেশে আসামিরা সরকারের অনুমতি ছাড়া আদালত চত্বরের মোট এক লাখ টাকা মূল্যের পাঁচটি আকাশমনি গাছ এবং পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির এক লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যান। এসময় বাদীসহ সাক্ষীরা বাধা দিলে আসামিরা তাদের ভয়ভীতি দেখান।

 

এ বিষয় জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, আপনারা যদি ঘটনাস্থল এবং ছবি দেখেন তবে বুঝতে পারবেন, এগুলো কেমন ধরনের গাছ। গাছগুলো উপড়ে ভবনের ওপর পড়েছিল। যে কারণে চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় গাছ কাটা হয়েছে। এটি মানুষের চলাচলের স্বার্থে অপসারণ করা হয়েছে। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই। আর পুকুরটি মূলত কাচারি বাড়ির পুকুর যা সবাই ব্যবহার করে এবং এটি ভূমি অফিস দেখভাল করে আসছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ বলেন, আমি এ ধরনের কোনো আদেশ পাইনি এবং বিষয়টি আমি অবগত নই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বাসদ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আদালত চত্বরের গাছ কাটার অভিযোগে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ০৭:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ-

 

 

 

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের পাঁচটি আকাশমনি গাছ কেটে ফেলা ও পুকুর থেকে মাছ ধরে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

 

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে আদালতে অভিযোগ দেওয়ার পর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

কলাপাড়া চৌকি আদালতে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কানুনগো নজরুল ইসলাম, অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম, তহশিলদার মো. আলাউদ্দিন ও গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘ বছর ধরে কলাপাড়া উপজেলায় সরকার নির্মিত ভবনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী জজ আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। কিছুদিন আদালত ভবনে ফাটল ধরায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া ভাড়া বাড়িতে বর্তমানে বিচারকাজ পরিচালিত হয়ে আসছে।

 

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি এসিল্যান্ডের নির্দেশে আসামিরা সরকারের অনুমতি ছাড়া আদালত চত্বরের মোট এক লাখ টাকা মূল্যের পাঁচটি আকাশমনি গাছ এবং পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির এক লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যান। এসময় বাদীসহ সাক্ষীরা বাধা দিলে আসামিরা তাদের ভয়ভীতি দেখান।

 

এ বিষয় জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, আপনারা যদি ঘটনাস্থল এবং ছবি দেখেন তবে বুঝতে পারবেন, এগুলো কেমন ধরনের গাছ। গাছগুলো উপড়ে ভবনের ওপর পড়েছিল। যে কারণে চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় গাছ কাটা হয়েছে। এটি মানুষের চলাচলের স্বার্থে অপসারণ করা হয়েছে। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই। আর পুকুরটি মূলত কাচারি বাড়ির পুকুর যা সবাই ব্যবহার করে এবং এটি ভূমি অফিস দেখভাল করে আসছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ বলেন, আমি এ ধরনের কোনো আদেশ পাইনি এবং বিষয়টি আমি অবগত নই।