মোঃ আমিনূর ইসলাম রাব্বি
ময়মনসিংহ ব্যুরো
দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আজ যে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখোমুখি— মাদক, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, ইভটিজিং ও সাইবার অপরাধ— তা মোকাবেলায় একদল সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা নিরলস সংগ্রাম করে চলেছেন। তাদের মধ্য থেকে এক উজ্জ্বল নাম উঠে এসেছে— ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ওসি শফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ শহরের অপরাধের চিত্র পাল্টে দিতে শুরু করেন। কঠোর অভিযান আর কৌশলী পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি একের পর এক মাদক কারবারি, ছিনতাইকারী ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। কেউ কেউ আবার এলাকাই ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
তবে তিনি শুধু কঠোর হাতে অপরাধ দমনেই থেমে থাকেননি। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করাকেও করেছেন নিজের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তাঁর ভাষায়, “পুলিশ একা কিছু করতে পারে না, জনগণের আস্থা আর সহযোগিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
এই দর্শন থেকেই তিনি গড়ে তুলেছেন এক মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশিং মডেল। থানার ভেতরে চালু করেছেন “জনসেবা ডেস্ক”, যেখানে হয়রানিমুক্ত সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নাগরিকরা আজ থানায় এসে ভয় পায় না; বরং বিশ্বাস করে— পুলিশ এখন তাদের পাশে।
মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে তিনি তৈরি করছেন সচেতনতার ঢেউ। কিশোরদের মধ্যে গড়ে তুলছেন অপরাধবিমুখ মানসিকতা। কিশোর গ্যাং দমনে শুধু কঠোরতা নয়, পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করছেন— সমাজের ছিটকে পড়া তরুণদের জন্য খুলে দিচ্ছেন নতুন সম্ভাবনার দরজা।
সাম্প্রতিক এক মতবিনিময় সভায় এক প্রবীণ শিক্ষক আবেগঘন কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমরা বহু বছর ধরে পুলিশের নানা রূপ দেখেছি। কিন্তু শফিকুল ইসলাম সাহেব যেন এক অন্য রকম পুলিশ অফিসার, যিনি ভালোবাসেন মানুষকে, ভালোবাসেন দায়িত্বকে।”
ওসি শফিকুল ইসলামের নিষ্ঠা, সাহস ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আজ ময়মনসিংহে একটি নতুন বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে—
পুলিশ এখন শুধু আইন রক্ষাকারী নয়, বরং সমাজের নির্ভরতার নাম।